জ্যাকের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ডুবে যাচ্ছে টাইটানিক। একটি কাঠের পাটাতনে উঠে কোনো রকমে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছে রোজ। পাটাতনের এক কোণ ধরে ঝুলছে জ্যাক। কিন্তু পাটাতনটা ছিল বেশ বড়। অনায়াসে তাতে উঠে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারত জ্যাক।

টাইটানিক রিলিজের পর থেকে সোশ্যাল সাইটে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। অবশেষে এত বছর পর মুখ খুললেন টাইটানিকের পরিচালক জেমস ক্যামেরন।

সম্প্রতি জেমস ক্যামেরন জানিয়েছেন, এমন হতে পারত না। একসঙ্গে থাকতে পারত না জ্যাক ও রোজ।

গত ২০ বছর ধরে এই সমালোচনা চলছে। একের পর এক আঙুল উঠেছে ক্যামেরনের উপর। কেউ কেউ তো এও বলেছেন, রোজ় বড়ই স্বার্থপর। তাই তো জ্যাককে সেই কাঠের পাটাতনে উঠতে দেয়নি। যখন জ্যাক জমে বরফ হয়ে গেছে, তাকে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু নিজের প্রাণটি বাঁচিয়ে ফিরেছে।

এমন সমালোটনার পর আর চুপ থাকতে পারেননি ক্যামেরন। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘দেখ, এটা খুব সহজ। চিত্রনাট্যের ১৪৭ পাতায় লেখা আছে জ্যাক বোর্ড থেকে বেরিয়ে যায়, যাতে রোজ বাঁচতে পারে। এবার এটা নিয়ে যে যা খুশি বিশ্লেষণ করতে পারে।’

তবে এর সঙ্গে তিনি আরও একটি কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, যদি কেউ ২৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট (মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় থাকে, তার ব্রেন ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেবে। যদি জ্যাক সাঁতারের চেষ্টাও করত, তাহলেও ওই তাপমাত্রায় তা সম্ভব ছিল না। আগেই সে মারা যেত। তাই জ্যাকের কাছে সবথেকে ভালো উপায় ছিল নিজের দেহের ঊর্ধ্বাংশ বাইরে রেখে কোনো জাহাজ বা নৌকো খোঁজার চেষ্টা করা।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭)