thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

‘ধলেশ্বরীকে বুড়িগঙ্গা হতে দেওয়া হবে না’ শীর্ষক গণশুনানি

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০৩ ২২:৫৭:৫৭
‘ধলেশ্বরীকে বুড়িগঙ্গা হতে দেওয়া হবে না’ শীর্ষক গণশুনানি

সাভার প্রতিনিধি : ট্যানারি স্থানান্তর ও সাভার এলাকার সার্বিক পরিবেশ বিবেচনায় ‘ধলেশ্বরী নদীকে বুড়িগঙ্গা হতে দেওয়া হবে না’ শীর্ষক এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থা, নিজেরা করি এবং নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদ সাভার শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ গণশুনানির আয়োজন করে।

গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ এর সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমর ও সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ঠান্ডু মোল্লা। এ ছাড়া বেলা’র প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদ সাভার-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক।

গণশুনানি অনুষ্ঠানে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় ট্যানারি শিল্পের কারণে ঝাউচর এলাকাবাসী পরিবেশ সংকটের মুখে রয়েছেন। ট্যানারির দুর্গন্ধে ওই এলাকার নারী ও শিশুরা নানা রোগে ভুগছেন। ট্যানারির বর্জ্যের কারণে ধলেশ্বরী নদীর পানি দূষিত হয়ে এখানকার মাছ মরে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে বিষাক্ত ট্যানারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফকরুল আলম সমর বলেন, সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়টি জাতির স্বার্থের কথা চিন্তা করে নেওয়া হয়নি। ট্যানারি বর্জ্যের কারণে এখানকার মানুষ ও পরিবেশের যে ক্ষতি হবে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন প্রযুক্তি দিয়েই নিরসন সম্ভব নয়। তাই ট্যানারি বর্জ্যের কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সরকার, বিসিক ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে সকল কাজের দেখভালের আহ্বান জানান।

পরিবেশবিদ রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লা বলেন, ট্যানারি থেকে বুড়িগঙ্গায় ফেলা পানির তাপমাত্রা ও ক্রোমিক এ্যাসিডসহ সকল ক্যামিক্যালের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি যা পরিবেশ এবং প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান ট্যানারির কারণে পরিবেশ দূষণ হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এতো বড় কাজের বিষয়ে আমাদের দক্ষতার অভাব থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেগুলো পত্রপত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, এরই মধ্যে সিইটিপি নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে ট্যানারির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাইনিজ কোম্পানির অদক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে। তাই এসব বিষয়ে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এছাড়া বেলা’র প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তার বক্তব্যে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের ফলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, অবিলম্বে সে অবস্থার উন্নতি না হলে আগামী মার্চে অবস্থান কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর