thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

ঋণাত্মক ইক্যুইটি হিসাবে লেনদেন বন্ধে স্থগিতাদেশ

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৭:২১:২২
ঋণাত্মক ইক্যুইটি হিসাবে লেনদেন বন্ধে স্থগিতাদেশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঋণাত্মক ইক্যুইটি হিসাবে লেনদেন বন্ধের উপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ৫৯৭তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকারস এসোসিয়েশন (ডিবিএ) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং শেয়ারবাজারের স্বার্থে কমিশন মার্জিণ রুলস, ১৯৯৯ এর রুল ৩(৫) এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে যেসব বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক রয়েছে তারাও শেয়ার কেনা-বেচার সুযোগ পাবেন।

এর আগে গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে দেয়া এক চিঠিতে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনের স্বার্থে ঋণাত্মক মূলধনধারী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচা করার সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়।

মার্জিন রুলস’র এই ধারাটি কার্যকারিত স্থগিত করায় লেনদেনহীন অবস্থায় থাকা ঋণাত্মক বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করার সুযোগ পাবেন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মার্জিন রুলস’র এই ধারাটি এক বছরের জন্য স্থগিত করেছিল বিএসইসি। যা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে।

মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা অনুযায়ী, কোনো বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক হলে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস তাকে ঋণ সমন্বয়ের জন্য ৩ দিনের নোটিশ দেবে। যাতে বিনিয়োগকারী অর্থ সংগ্রহ করে ঋণাত্মক পরিস্থিতি ১৫০ শতাংশ থেকে কমাতে পারে। আর ঋণাত্মক অবস্থা ১৫০ শতাংশের নীচে না এলে তিনি লেনদেন করতে পারেন না।

ধারাটিতে বলা হয়েছে, যখনই ইক্যুইটি ক্লায়েন্টের মার্জিন অ্যাকাউন্ট ডেবিট ব্যালেন্সের ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসে তখন হাউজগুলো ঋণ সমন্বয়ের জন্য ক্লায়েন্টকে অবহিত করবে। যাতে কোনোভাবেই ইক্যুইটি মার্জিন ঋণের ১৫০ শতাংশের কম না হয়। হাউজ কর্তৃপক্ষের ক্লায়েন্টের প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠির ৩ দিনের মধ্যে নগদ অর্থ কিংবা মার্জিনেবল সিকিউরিটিজ দিয়ে অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয় করবে। যে পর্যন্ত ইক্যুইটি সন্তোষজনক অবস্থায় না আসে সে পর্যন্ত ক্লায়েন্টের লেনদেন বন্ধ থাকবে।

ধরা যাক, কোনো বিনিয়োগকারীর ১০০ টাকা ডিপোজিটের বিপরীতে আরো ১০০ টাকা মার্জিন ঋণ সুবিধা নিয়ে মোট ২০০ টাকার শেয়ারে কিনেছেন। বাজার মন্দার কারণে তার বর্তমান শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে তার ইক্যুইটির ডেবিট ব্যালেন্স মার্জিন লোন থেকে ১৫০ শতাংশ কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারা অনুযায়ী, হাউজ কর্তৃপক্ষ তাকে চিঠির মাধ্যমে অতিরিক্ত ঋণ পরিশোধের চাপ প্রয়োগ করার পাশাপাশি লেনদেন বন্ধ করে দেবে।

শেয়ারবাজারে ২০১০ সালের মহাধসের পর বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএসইসি এই ধারাটির কার্যকারিতা কয়েক দফা স্থগিত করে। ফলে যেসব বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক ছিল তারাও শেয়ার কেনা-বেচার সুযোগ পান। কিন্তু গত ডিসেম্বরে স্থাগিতাদেশের সময় শেষ হওয়ায় বর্তমানে এমন পোর্টফোলিও’র বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করা সুযোগ পাচ্ছেন না।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সর্বপ্রথম ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ঋণাত্মক থাকা পোর্টফলিও পুনর্বিন্যাস এবং ১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারা স্থগিত করার দাবি জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরের ৯ এপ্রিল বিএসইসির বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর রুলস ৩(৫) এর কার্যকারিতা স্থগিত করে। এরপর আরও কয়েক দফা এ ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর