thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

আড়তে মাছ বিক্রি করে শতাধিক পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৮:০০:৩২
আড়তে মাছ বিক্রি করে শতাধিক পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা মৎস্য আড়তে মাছ বিক্রি করে শতাধিক পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। হাওড়ের মধ্যবর্তী ঘোড়াউত্রা নদীর তীরঘেঁষা গড়ে ওঠা এ বিখ্যাত মৎস্য আড়তে এখন প্রতিদিন সকালে তরতাজা মাছের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে ভিড় জমাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার এ মাছ বাজারে কোটি টাকার মাছ বিক্রির রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আড়তদাররা। ছয় মাসের এ অস্থায়ী মাছ বাজারকে ঘিরে এ উপজেলার প্রায় শতাধিক পরিবারের সদস্য মাছ বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের সংসারে এখন আর অভাব-অনটন নেই বললেই চলে। এ বাজারের সুনাম এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে মাছবাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রায় শতাধিক বছর ধরে করিমগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াউত্রা নদীর পাড়ে বালুচরে এ মাছ বাজারটি গড়ে ওঠে। সেই থেকে শুকনো মৌসুমের ছয় মাস এ বাজারে কেনা-বেচার কার্যক্রম চলে। আবার বর্ষা এলেই পানিতে ডুবে যায় এ বাজার। এ সময় আড়তদাররা তাদের দোকানপাঠ ভেঙে গুছিয়ে নেন ছয় মাসের জন্য। হাওরের বিভিন্ন নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রির জন্য খুব সকালে জেলেরা এ আড়তে নিয়ে আসেন। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা বাজারটি পুরোপুরি জমে ওঠে। তিন ঘণ্টায় এখানে দৈনিক প্রায় কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ বিক্রি হয়ে থাকে।

আড়তদার মাছ ব্যবসায়ী আবুল হাসেম মেম্বার ও জিতেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শতবছর নয়, এরও আগ থেকে এ মাছ বাজার জমে আসছে। বাজারে প্রতিদিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা দেশীয় মাছ যেমন- রুই, কাতল, সিং, মাগুড়, কৈ, টাকি, বোয়াল, চিংড়ি, টেংরা, চান্দা, চিকড়া, পুটি, বালিয়ারা, বাইমসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনতে আসেন। স্থানীয় জেলে ও মাছের আড়তদাররা এ আড়তে মাছ বিক্রি করে শতাধিক পরিবারের সদস্যরা তাদের সংসার চালাচ্ছেন।

বালিখলা মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পাইকাররা এখান থেকে অল্পদামে কিনে ট্রাক, পিকআপ বুঝাই করে সে মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। আবার অনেকে বিয়েশাদি, জন্মদিন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের অতিথি আপ্যায়নের জন্য মাছ কিনতে আসেন। শুরুর দিকে এ আড়তে ৫ জন আড়তদার থাকলেও এখন ব্যবসা করেন ১০০ জন আড়তদার।

বালিখলা মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারেছ মিয়া দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সরকার যদি বাজারের ভিটে মাঠি কেটে ঢেউ প্রতিরক্ষা দেওয়াল তৈরি করে দিতেন, তাহলে সারা বছরই এ বাজারে মাছ বিক্রি করে এলাকার হাজারো জেলে পরিবার ও মাছ ব্যবসায়ীরা সুখে জীবনযাপন করতে পারতো। শুকনো মৌসুমে প্রতিদিন এ আড়তে প্রায় এক কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়ে থাকে। সাধারণত দেশিয় বড় বড় মাছ এখানে আসে বেশি। সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টা এখানে মাছের মেলা ও বেচাকেনা ধূম পড়ে যায়।

(দ্য রিপোর্ট/এস/এপি/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর