thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে নতুন বস্ত্রনীতি

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৭:৪৪:৫৮
বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে নতুন বস্ত্রনীতি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে নতুন বস্ত্রনীতি প্রণয়ন করেছে সরকার।

সচিবালয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘১৯৯৫ সালের বস্ত্রনীতিকে আপডেট করে নতুনভাবে আনা হয়েছে। নতুন নীতিতে ১১টি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘নীতিতে আলাদা প্রস্তাবনা রয়েছে। ভিশন-মিশন ছিল না আগে, এটা যুক্ত করা হয়েছে। উদ্দেশ্যটা বিস্তারিত বলা হয়েছে। সংজ্ঞাগুলো দেওয়া হয়েছে। বস্ত্রখাতে বিভিন্ন উপখাত বিষয়ক উদ্যোগের বিষয়ে বলা হয়েছে। বস্ত্র শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহের বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।’

নীতিতে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেছেন, ‘আর্থিক কোন কোন খাতে প্রণোদনা দেওয়া হবে নীতিতে তা দেওয়া আছে। বস্ত্রখাতে বিদেশি বিনিয়োগ কি হবে, তাদের জন্য কি সুযোগ-সুবিধা থাকবে সে বিষয়ে বলা হয়েছে। বস্ত্রনীতি বাস্তবায়ন কৌশল এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন নামে নতুন একটি অধ্যায় আনা হয়েছে।’

নীতির উদ্দেশ্যের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, ‘কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপযোগী করে বস্ত্র ও পোশাক খাতকে গড়ে তোলা, বস্ত্র পণ্যের অভ্যন্তরীণ সিংহভাগ পূরণ এবং মধ্য ও উচ্চমূল্য সংযোজিত রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক বস্ত্রশিল্পের অধিকতর উন্নয়ন। প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বহুমুখী বস্ত্র পণ্যের উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।এ ছাড়া প্রাথমিক বস্ত্রখাতের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডাইং, প্রিন্টিং, ফিনিশিং, হোশিয়ারি, হোম টেক্সটাইল, টেরিটাওয়েল, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক, রেশম শিল্প ইত্যাদি উপখাতের ভূমিকা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার কথা নীতিতে বলা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, নীতির উদ্দেশ্যে আরও বলা হয়েছে, দেশের বস্ত্রখাতে উৎপাদিত পণ্য সর্বাধিক প্রাধিকার প্রাপ্ত শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার স্বীকৃতি আদায় এবং যাতে সকল দেশের বাজারে সহজে প্রবেশাধিকার লাভ করে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

পরমাণু শক্তি কমিশন আইন চূড়ান্ত অনুমোদন

‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আইন-২০১৭’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, ‘১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি অর্ডারকে বাংলায় অনুবাদ করে আপডেট করে নিয়ে আসা হয়েছে। আগের বিষয়গুলোই নতুন আইনে নিয়ে আসা হয়েছে।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্যের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেছেন, ‘সরকারের নির্ধারিত শর্তে তারা নিযুক্ত হবেন। চেয়ারম্যান হবে সংস্থার প্রধান।’

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কমিশন খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পরিবেশ ও শিল্পের ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের প্রসারে কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষা ও সেবা বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে কমিশন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনসহ এ জাতীয় কাজও করবে কমিশন।’

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন নীতিগত অনুমোদন

বৈঠকে ‘খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, ‘এ বিষয়ক অন্যান্য আইন যেমন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের আদলে এ আইনটি সাজানো হয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এস/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর