thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

শজিমেকে জরুরি বিভাগ বন্ধ করে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৯:১৬:০৩
শজিমেকে জরুরি বিভাগ বন্ধ করে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

বগুড়া ব্যুরো : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ফ্যানের সুইচকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে এক রোগীর স্বজনদের মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে সাড়ে ১২টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের কোনাগাতি এলাকার ওই রোগীর ছেলে রফিক সরকার জানান, শনিবার দিবাগত রাতে তার বাবা আলাউদ্দিন (৬০) হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রাত ৩টায় বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাবাকে মেডিসিন বিভাগের ৪৭৫ নম্বর কক্ষের মেঝেতে রাখা হয়। হৃদরোগের পাশাপাশি তার অ্যাজমাও ছিল। এতে তার ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফ্যানটি বন্ধ করার জন্য সুইচ কোথায় তা খোঁজা হচ্ছিল। এ সময় একজন মহিলা ইন্টার্ন চিকিৎসক আসে। তাকে আপা বলে সম্বোধন করে ফ্যানের সুইচ কোথায় জানতে চায় সে। এ সময় ওই ডাক্তার বলে, ‘আমি কি আয়া নাকি? আমি কি এখানে থাকি?’। এরপর পরই ইন্টার্ন চিকিৎসক নাজের উদ্দিন সেখানে আসেন। তিনি রফিকের কলার চেপে ধরে ঘুষি মেরে বলেন, ‘এই তুই ডাক্তারের সাথে খারাপ ব্যবহার করছিস কেন?’। এরপর তাকে একটি রুমে নিয়ে মারধর করে এবং একশ’ বার কার ধরে উঠবস করতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, রফিককে তারা আটক করে রাখে।

এ বিষয়ে মেডিকেল ফাঁড়ির টিএসআই শাহ আলম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মারপিটের ঘটনা শুনে রফিক সরকারকে উদ্ধার করি।’

ইন্টার্ন চিকিৎসক কুতুব উদ্দিন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তারা জরুরি বিভাগ বন্ধসহ কর্মবিরতি করছেন। ডাক্তারদের নিরপত্তাসহ ৭ দফা দাবিতে তাদের আন্দোলন চলবে। ৭ দফা দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা জরুরি সভা করেছি। জরুরি বিভাগ চালুসহ চিকিৎসা কাজ অব্যাহত রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জরুরি বিভাগ বন্ধ থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগী ও শিশুসহ অন্তত ৪০-৫০জন রোগী হাসপাতাল থেকে ফিরে গেছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর