thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

হাতীবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে হুমকি, থানায় জিডি

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯ ২২:০৯:৪৪
হাতীবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে হুমকি, থানায় জিডি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাচাইয়ের আওতায় আনার অভিযোগ করায় আবুল হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারকে মোবাইল ফোনে নানা রকম হুমকি-ধামকি দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। পরিবার-পরিজন আর নিজের নিরাপত্তার জন্য শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাতীবান্ধা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা।

আবুল হোসেন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার।

আবুল হোসেন জানান, ‘১৯৮৭ সালে হাতীবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৪৯ জন। কিন্তু বর্তমানে এ উপজেলায় প্রায় ৩২৪ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারের দেওয়া সম্মানি ভাতা তুলছে। সম্প্রতি সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে যাচাই-বাছাইয়ের ঘোষণা দেন। এতে শতাধিক ভাতাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম উল্লেখ করে তাদেরকে যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করি আমি। আর তাই ওইসব মুক্তিযোদ্ধাকে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হতে ইতোমধ্যে নোটিস প্রদান করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ কারণেই গত দু‘দিন ধরে আমার মুঠোফোনে বিভিন্ন নম্বর থেকে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন নম্বর থেকে আমাকে বলা হচ্ছে অভিযোগ তুলে নিতে। নইলে আমার ও পরিবারের যে কোন সদস্যের ক্ষতি করা হবে। শুধু তাই নয়, সোমবার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইকালে আমি উপস্থিত হলে আমার হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। এই অবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে হাতীবান্ধা থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। ওই মুক্তিযোদ্ধা এ নিয়ে হাতীবান্ধা থানায় জিডি করেছেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধকে হুমকি দেওয়ার ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু সেখানে শুধু কয়েকটি মোবাইল নম্বর লেখা আছে। এখন ওই মোবাইল নম্বরগুলো কিভাবে খুঁজে বের করবো তাই ভাবছি।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন আমাকে কিছু বলেনি। তবে যেসব মুক্তিযোদ্ধা অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাদেরকে অবশ্যই যাচাই-বাছাইকালে বিষয়টি প্রমাণের জন্য উপস্থিত থাকতে হবে। এরপরেও অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও সৈয়দ এনামুল কবির।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর