thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

বিচারকদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিটের আদেশ রবিবার

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২০ ১৬:৫০:৪৬
বিচারকদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিটের আদেশ রবিবার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ১১৬ অুনচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, আদেশের জন্য আসলেও সেদিন এ বিষয়ে আরও শুনানি হবে।

গত বছরের ২২ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনটি মুলতবি রেখেছিলেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি কার্যতালিকায় আসলে আদালত আদেশের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।

এরআগে গত ৩ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। যেখানে অধস্তন আদালতের শৃঙ্খলা বিধান ছাড়াও উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদকেও রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। যাকে সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

রিট আবেদনে ৯৫ (১) ও ১১৬ অনুচ্ছেদকে সংবিধানের ২২ ও ১০৯ এবং বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলা রায়ে প্রদত্ত নির্দেশনার সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদি করা হয়েছে। রিটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের হাতে অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই দায়িত্ব দেওয়া রাষ্ট্রপতির হাতে এককভাবে। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির এই দায়িত্ব প্রয়োগে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ সংক্রান্ত বিধানটি সংযোজন করা হয়।

মুন সিনেমা হল সংক্রান্ত মামালায় পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে সেই অনুযায়ী ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করা হয়। তবে ওই সংশোধনীতে ১১৬ অনুচ্ছেদের বিধানটি রেখে দেওয়া হয়। গত ৩১ অক্টোবর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। তাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুনঃপ্রবর্তন হওয়া সময়ের দাবি।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এস/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর