thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

মাদক আখড়ার পাহারাদার পুলিশ!

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২০ ২২:৪৯:৫২
মাদক আখড়ার পাহারাদার পুলিশ!

রাজশাহী অফিস : রাজশাহীতে পুলিশ কমিশনারের মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ড ভেস্তে দিচ্ছেন মুষ্ঠি কয়েকজন কর্মকর্তা। একদিকে কমিশনার মাদক র্নিমূলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা মাদক আখড়ার পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করছেন। ওইসব কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মাদক। এমনকি সেবনও করা হচ্ছে।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর গুড়িপাড়া এলাকার এক মাদকের আখড়ায় সাদা পোশাকে রাজপাড়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী উপ-পরিদর্শক মোর্শেদ ও মাসুদ রানাকে বসে থাকতে দেখা গেছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, বেশ কয়েক মাস ধরে রাজশাহী মহানগরীকে মাদক মুক্ত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম রাজশাহীতে যোগদানের পর তিনি এসব উদ্যোগ নেন। যার অংশ হিসেবে মাদক বিক্রেতাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। চার দফায় নগরীর ১৮৫ জন মাদক বিক্রেতা আত্মসমর্পণ করে। যাদের মধ্যে ৫০ জনকে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু পুলিশ কমিশনারের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগকে ম্লান করছে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা। ওই সব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই চলছে মাদক বিক্রয় ও মাদক সেবন।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানার গুড়িপাড়া মোড়ে যাত্রী ছাউনিতে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করতে দেখা গেছে। যেখানে সাদা পোশাকে রাজপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মোর্শেদ ও মাসুদ রানাকে বসে থাকতে দেখা যায়। তাদের সামনে দুইজন মাদক সেবন করছেন। দেখে মনে হচ্ছে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা যেন পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে রাজপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মোর্শেদ জানান, আমরা জেনে শুনেই তাদের মাদক সেবনের সুযোগ করে দিয়েছিলাম। কারণ একটু খেলে তারা সতেজ হয়ে যায়। অবশ্য পরে তাদের আটক করে আরএমপি অধ্যাদেশে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিল।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম যোগদানের পর রাজশাহী মহানগরী থেকে মাদক র্নিমূলের নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এখন পর্যন্ত ১৮৫ জনকে আত্মসমর্পণর সুযোগ দিয়েছেন। ৫০ জনকে পুনর্বাসন করেছেন। অতএব মাদক, মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আপস করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তার সামনে মাদক সেবনের অভিযোগটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে ওই দুই কর্মকর্তার কোনো গাফলতি থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর