thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে মারা গেলেন আলাউদ্দিন

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২১ ১৬:৩৯:৫২
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে মারা গেলেন আলাউদ্দিন

বগুড়া প্রতিনিধি : অবশেষে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আলাউদ্দিন (৬০) মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মারা যান। তার চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে ছেলে রউফকে দফায় দফায় মারপিট এবং তার বোন-শ্যালিকাকে লাঞ্ছিত করেছিলেন ইন্টার্নি চিকিৎসকরা।

বগুড়া মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই শাহ আলম জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলাউদ্দিন মারা যান। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের কোনাগাতি গ্রামে। হাসপাতাল থেকে তার স্বজনরা লাশ নিয়ে চলে গেছে। তিনি আরো জানান, মারধর ঘটনার পর আলাউদ্দিনের ছেলে রউফ পুলিশ হেফাজতে থাকলেও সোমবারে তার আত্মীয়রা তাকে নিয়ে গেছে। লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় আলাউদ্দিনের আত্মীয় স্বজনরা কাঁদতে কাঁদতে উচ্চস্বরে বলেন, চিকিৎসার জন্য আসলে আর কত মারধর করবে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্নি ডাক্তাররা? চিকিৎসার জন্য এসে মারধরের স্বীকার হলাম।

ইন্টার্নি চিকিৎসকরা চিকিৎসা বন্ধ রেখে রবি-সোমবার আন্দোলন করার কারণে রোগীকে বাঁচানো গেল না। ফলে মৃতদেহ নিয়ে যেতে হলো। মন্ত্রী নাসিম ভাইকে আমরা আমাদের এসব কথা জানিয়ে বিচার চাইবো।

উল্লেখ্য, রবিবার সিরাজগঞ্জের কোনাগাতি গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মুমূর্ষু রোগী আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে আবদুর রউফ সরকারের সঙ্গে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করা নিয়ে বিতন্ডার জেরে রবিবার দফায় দফায় মারধর করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এক পর্যায়ে হাসপাতালের পরিচালক, বিএমএ নেতা ও জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের উপস্থিতিতেই আবদুর রউফকে ১০০ বার কানধরে ওঠ-বস করিয়ে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন। পরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে আরেক দফা মারধরের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এসব ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নালিশ’ করতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে আবদুর রউফের বোন বীনা বেগম এবং শ্যালিকা সেতু আকতারের ওপরও হামলা করা হয়। এ ছাড়া হাসপাতাল ফটকে তালা ঝুলিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম আড়াইঘণ্টা বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর