thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

সালিশে শাস্তি

ওসি-ইউপি চেয়ারম্যানকে ফের হাজিরের নির্দেশ

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৫:৩৯:৪৩
ওসি-ইউপি চেয়ারম্যানকে ফের হাজিরের নির্দেশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গ্রাম্য সালিশে ফতোয়ার নামে বিচার বর্হিভূত শাস্তি প্রদানের ঘটনায় লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও একই উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আবারও হাইকোর্টে হাজির হতে হচ্ছে।

আগামী ৯ মার্চ ফের এ দুজনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চেয়ারম্যান দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা, সে বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুলের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেয়।

পাশাপাশি লক্ষীপুরের বিচারিক আদালত থেকে ওই চেয়ারম্যানের নেওয়া জামিনের নথিও তলব করা হয়েছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষীপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে নেওয়া জামিন আবেদনে ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া রুলের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাকিমকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন আবদুর রব চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল সোহেল। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের গ্রাম্য সালিশে ‘ফতোয়ার নামে’ বিচার বর্হিভূত শাস্তি প্রদান করা হয়। সেদিনই একটি অনলাইন সংবাদপত্রে ‘লক্ষ্মীপুরে সালিসে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা ও পরিচালক এস এম রেজাউল করিম ও আইনজীবী শারমিন আক্তার আদালতের নজরে আনেন।

ওই প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও কমলনগর থানার ওসিকে ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইউপি চেয়ারম্যান ও ওসি হাইকোর্টে হাজির হন।

আদালত বলেছেন, এখানে ফৌজদারী অপরাধ হয়েছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।

তাই আদালত উভয়কে আগামী ৯ মার্চ ফের হাজিরের নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে ফতোয়ার নামে গ্রাম্য সালিশে নারী ও পুরুষকে বিচার বর্হিভূত শাস্তি প্রদান কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভুত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি শাস্তি প্রদানকারী ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং লক্ষীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র সচিব, লক্ষীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং চর মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ আট জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ফতোয়ার নামে বিচার বর্হিভূত সহিংসতার শিকার নারী ও পুরুষের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লক্ষীপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর