thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

‘প্রযুক্তির মাধ্যমে ২ বছরেই সুপিরিয়র ষাঁড় উৎপাদন’

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৭:৪৪:৪৩
‘প্রযুক্তির মাধ্যমে ২ বছরেই সুপিরিয়র ষাঁড় উৎপাদন’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ব্রাজিল থেকে প্রযুক্তি এনে মাত্র দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে বিশেষ ধরনের ষাঁড় (সুপিরিয়র প্রুভেন বুল) উৎপাদন করে দেশে মাংসের চাহিদার ঘাটতি মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ৭০ দশমিক ৫২ লাখ মেট্রিকটন মাংসের চাহিদার বিপরীতে ৬১ দশমিক ৫২ লাখ টন উৎপাদন হয়। আগের তুলনায় মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। দেশে এখনও মাংসের ঘাটতি ৯ লাখ টন।

উৎপাদন বৃদ্ধির পরও কেন দেশে মাংসের দাম বেড়ে চলছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাণিম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘আগে হালচাষ করা হতো গরু দিয়ে, এখন করা হয় পাওয়ার টিলার দিয়ে। দেশের জনগণ আগের মত গরু লালন-পালন করে না। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে যখন মাঠে গিয়েছি তখন প্রতি বাড়িতে একাধিক গরুর গোয়াল ছিল, এখন যান সারাগ্রামে একটা গোয়াল ঘর পাবেন না। গবাদিপশুর জন্মহারে ব্যাপক ঘাটতি পড়েছে।’

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য ব্রাজিল সফর করেছেন জানিয়ে ছায়েদুল হক বলেন, ‘ব্রাজিল একটা মডার্ন টেকনোলজি বের করেছে। এই প্রযুক্তি নিয়ে আসলে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে সুপিরিয়র বুল তৈরি হবে। সুপিরিয়র বুল তৈরিতে বাংলাদেশে ৬ থেকে ৭ বছর সময় লাগে। আশা করি আগামী মার্চ মাস থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ শুরু করা যাবে। এতে মাংসের দামও কমে যাবে।’

ব্রাজিলের সুপিরিয়র বুল উৎপাদনের প্রযুক্তি চীন, জার্মানি, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ নিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

২০১৬ সালে দেশে কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষের সংখ্যা ছিল ৪৪ লাখ ২০ হাজার ছিল জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘আর ছাগল-ভেড়ার চাহিদা ছিল ৭০ লাখ ৫০ হাজারটি। এই চাহিদার শতভাগ পশু দেশীয় উৎপাদন থেকেই মেটানো হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘অনেকের ধারণা ভারত থেকে গরু না এলে কোরবানি হবে না। গত দুই বছর চেষ্টা করে ভারতীয় গরু ছাড়াই কোরবানির ঈদ উদযাপন করেছি।’

১৪৬ লাখ ৯১ হাজার টন দুধের চাহিদার বিপরীতে ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টন দুধ উৎপাদন হয় জানিয়ে ছায়েদুল হক বলেন, ‘এক হাজার ৬৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডিমের চাহিদা থাকলেও এক হাজার ১৯০ কোটি ২৪ লাখ ডিম উৎপাদন হচ্ছে।’

মন্ত্রী জানান, পোল্ট্রিশিল্পে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত আছে। এইখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এইখাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যার মধ্যে ৬৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. মাকছুদুল হাসান খান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক আইনুল হক উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর