thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

‘উর্দিপরা লোকজনকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে’

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২২ ২১:৫৩:০৩
‘উর্দিপরা লোকজনকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেছেন, মূলত উর্দিপরা লোকজনকেই স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানকারী হিসেবে এযাবৎকাল পুরস্কৃত করা হয়েছে। উর্দি পরা লোকেরা বিভিন্ন সময়ে বীরশ্রেষ্ঠ, বীরপ্রতীক, বীর বিক্রমসহ বিভিন্ন খেতাব পেলেও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের কোনো সরকারই সম্মানিত করেনি। তাদের প্রাপ্য সম্মান এবং স্বীকৃতি আজও দেওয়া হয়নি।

বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ আহ্বান জানান সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব। এসময় তিনি সরকারের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রাপ্য সম্মান এবং স্বীকৃতি প্রদানের আহ্বান জানান।

আলোচনাকালে সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তার এই বক্তব্যকে ‘ভাল’ বলে অভিহিত করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আপনি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, কিন্তু নোটিশ দিয়ে কোনো বিধিতে আনলে ভাল আলোচনা হতো এবং হয়তো সংসদ গ্রহণও করত।’

সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতিহাসের পূর্ণতাই হলো ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ।‌ স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরউত্তমকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭ জন্য মনোনীত করায় অভিনন্দন জানিয়ে তাহজীব বলেন, অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উল্লে­খ করে বলতে চাই, স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য এ যাবৎকালে মূলত উর্দিপরা লোকজনই পুরস্কৃত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, একথা সত্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক ত্যাগ ও তিতিক্ষার গৌরবগাথা এক ইতিহাসের ফসল। আর এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের মহানায়ক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তার নির্দেশেই বাঙালির অধিকার আদায়ের পটভূমি তৈরি করেছিলেন তারই আস্থাভাজন ৬০ দশকের ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ও পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরসূরী ৮ জন শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আমার বাবা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আব্দুর রব ও প্রয়াত আবদুল কুদ্দুস মাখন।

তিনি বলেন, উর্দি পরা লোকেরা বিভিন্ন সময়ে বীরশ্রেষ্ঠ, বীরপ্রতীক, বীর বিক্রমসহ বিভিন্ন খেতাব পেলেও এসব সংগঠকদের কোনো সরকারই সম্মানিত করেনি। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য পুরো উত্তাল মাস জুড়েই জাতিকে চূড়ান্ত সশস্ত্র বিপ্ল­বের জন্য তৈরি করায় যাদের ছিল অবস্মরণীয় ভূমিকা, সেসব খলিফাখ্যাতদের অন্যতম আবদুল কুদ্দুস মাখনদের ভাগ্যে কিছু জোটে না।

রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ মূল্যায়িত হলেও ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক হিসেবে মূল্যায়িত হননি। তাকে অবিস্মরণীয় করে রাখার মতো কিছু করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল ক্ষমতায় থাকার পরেও স্বাধীনতার ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না এটি বিস্ময়কর।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর