thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ভাষা নিয়ে আন্দোলন ও ইসলাম

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২১ ২০:৪৭:০১
ভাষা নিয়ে আন্দোলন ও ইসলাম

ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আন্‌ওয়ারী

বাংলা ১৩৫৯ সালের ৮ই ফাল্গুন। যা আজ ৬২ বৎসর ধরে এ দেশমাতৃকায় একুশে ফেব্রুয়ারি নামে ভাষা আন্দোলনের স্মারক দিবস হিসেবে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও গাম্ভীর্যের সাথে উদযাপিত হয়ে আসছে। মাতৃভাষা ব্যবহার এবং তার মর্যাদা রক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলন হয়েছে এবং হচ্ছে। যথা তুরস্ক, বুলগেরিয়া, মধ্য এশিয়ার অঞ্চলসমূহ এবং ভারতের উত্তর প্রদেশ। কিন্তু ভাষার জন্য রক্তদান বা নিহত হওয়ার ঘটনা কেবল বাংলাদেশেই ঘটেছে। মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার দৃপ্ত শপথ নিয়ে বাংলার কিছু অকুতোভয় বীর সন্তান নিজেদের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে রচনা করে এক সূর্যস্নাত রক্তিম ইতিহাস। যা ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্যকে আরও গভীরে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন প্রায়ই অনেকের মনে দোলা দেয়, একটি ভাষা নিয়ে সমাজ পরিবেশ এত উত্তেজিত করা বা আন্দোলনে যাওয়া এ দেশবাসী মুসলীম হিসেবে ইসলামের দৃষ্টিতে কতটুকু মানানসই ? ইসলাম কি কোনো ভাষার উৎকর্ষ সাধনের জন্য আন্দোলন চালাতে এসেছে ? ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ইসলামের ভূমিকা কী ? এ নিয়েই এই আলোচনার অবতারণা।

আন্দোলন অর্থ

বাংলা একাডেমীর সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধানে ‘আন্দোলন’ শব্দটির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘একটি বিশেষ উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য প্রচার বা আলোচনা দ্বারা উত্তেজনা সৃষ্টিকরণ (যথা : ভাষা আন্দোলন)’।[1] সুতরাং ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ইসলামের ভূমিকা কী, তা নির্ভর করে ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্যের উপর।

ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্য

যতটুকু জানা যায়, ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মাতৃভাষা ব্যবহার, তার সার্বিক উৎকর্ষ সাধন ও চর্চা করার অধিকার আদায়। যদিও এ আন্দোলনের ইতিহাস অনেক অতীতের। কেননা বৌদ্ধ-যুগের পর ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন রাজারা বাংলাভাষা চর্চা নিষিদ্ধ করেছিল। আর হিন্দু পুরোহিতরা প্রচার করত, যে বাংলায় কথা বলবে সে নরকে যাবে। তেমনি বৃটিশরাও তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি এতদাঞ্চলে চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু বাঙালী মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ নির্বিশেষে সকল ধর্মের বুদ্ধিজীবীরা সে নিষেধাজ্ঞা এবং ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাংলা ভাষায় বিবিধ সাহিত্য রচনা করে এ ভাষার ভাণ্ডার বিবিধ রতনে সমৃদ্ধ করেন।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ও তাদের তোষণকারী অনুসারীরা উর্দুকে জাতীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল ভাষাতত্ত্বের এক ভুল ব্যাখ্যার ছত্রছায়ায়। রুদ্ধ করতে চেয়েছিল বাঙালীর মাতৃভাষা চর্চা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবহারের পথ। তারই প্রতিবাদে বাংলা ভাষা আন্দোলন নবতররূপে বেগবান হয় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায়।

সে আন্দোলনের দ্বিতীয়ত, আরও উদ্দেশ্য ছিল মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে অফিস আদালতসহ রাষ্ট্রের সর্বস্তরে এর ব্যবহার নিশ্চিত করা, জাতীয় স্বকীয়তা ও পরিচিত সারা বিশ্বে আরও উন্নত করা। এ জন্য বাংলাভাষা আন্দোলনের অন্যতম শ্লোগান ছিল ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’।

তৃতীয়ত, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করার জন্য ভাষা আন্দোলন। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মুখের ভাষা উপেক্ষা করে অন্য একটি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করা চরম অন্যায়, তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ অন্যায় প্রতিরোধ করতে বাংলা ভাষা আন্দোলন। যে জন্য এটা অবশেষে এতদাঞ্চলের অবহেলিত জনতার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সকল বৈষম্য দূরীকরণ তথা স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়।

ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্যের আলোকে ইসলামের দৃষ্টিকোণ যাচাই

ভাষা আন্দোলনের উল্লিখিত উদ্দেশ্যের মাঝে এখানে মাতৃভাষা ব্যবহার করার অধিকারের বিষয়টি আসে। এর ব্যাখ্যা করতে গেলে আল কুরআন ও সুন্নাহ দিকে দৃষ্টিপাত করলে মানুষের মাতৃভাষা ব্যবহার করা ও এ ব্যবহারের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সম্পর্কে অনেকগুলো দিক পাওয়া যায়।

প্রথমত, ইসলাম ঘোষণা করেছে, মাতৃভাষা ব্যবহার করার অধিকার মানুষের সৃষ্টিগত তথা জন্মগত অধিকার। আল কুরআনের ভাষায় দয়াময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন ভাষা, ভাব প্রকাশের কৌশল। (সুরা আর-রাহমান আয়াত : ১-৪) এ আয়াতে মানব সৃষ্টির সাথে ভাষা শিক্ষার বিষয়টি সরাসরি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এটা তার সৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। যে ভাষার মাধ্যমে পরস্পরে ভাব বিনিময় করবে, সে ভাষাই হবে পরস্পরের সম্পর্কের সেতু বন্ধন। আর মানুষের এ ভাষা কৌশল আল্লাহ্‌র ইচ্ছাকৃত সৃষ্টি। এ জন্য কুরআনুল করীমে দেখা যায়, আল্লাহ পাক প্রথম মানব হজরত আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার সাথে সাথেই তাঁকে ভাষাজ্ঞান দান করেছেন।

উল্লেখ করা হয়েছে, ভাষাজ্ঞান বা ভাবভাষা প্রকাশের কৌশল আল্লাহ্‌র এক বিশেষ নেয়ামত। তাই কবিও বলেন, ‘মাতৃভাষা বাংলাভাষা, খোদার সেরা দান’। একটি শিশু মাতৃক্রোড়ে মাতৃপরিবেশে থেকে যে ভাষায় কথা বলতে শিখে, পরবর্তীকালে তা ব্যবহার করা তার নিজের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। এ মাতৃভাষা যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা বিদেশ বিভুঁইয়ে না গেলে বা ভিন্ন ভাষাভাষীদের সাথে বসবাস না করলে কেউ যথার্থভাবে অনুমান করতে পারবে না। মাতৃভাষার সম্পর্ক নাড়ির সম্পর্ক। বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম কি তা অস্বীকার করতে পারে ? তাই ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষা ব্যবহার করার অধিকার মানুষের সত্তাগত ও স্বভাবজাত তথা জন্মগত মৌলিক অধিকার।

শুধু মৌলিক অধিকারই নয়। কারণ কিছু ভাষা এমন ধরনের অধিকার যা কখনো হস্তক্ষেপযোগ্য নয়। অন্যথায় মানব সৃষ্টির কাঠামোতেই হস্তক্ষেপ করা হবে, তার অস্তিত্ব ও সত্তাকে অস্বীকার করা হবে। সুতরাং এই যদি হয় ভাষা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি, তা হলে তা ব্যবহার করার অধিকার আদায় আন্দোলনে নিঃসন্দেহে কোনোরূপ বাধা প্রদান করে না। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে ভাষা আন্দোলন অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে ইসলাম বিভিন্নভাবে মানব জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে, নিষেধ করা তো দূরের কথা। যেমন :

১. অধিকার আদায়ে প্রয়োজনে যুদ্ধ করা অত্যাবশ্যক। কুরআনুল করীমে এসেছে ‘যাদের লড়াই করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদেরকে লড়াই করতে নির্দেশ দেওয়া গেল এ জন্য যে, তারা অধিকার বঞ্চিত, নিপীড়িত হয়েছে।' (সুরা হজ্জ: ৩৯)

২. অধিকার আদায় করতে গিয়ে সংঘর্ষে নিহত হলে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করা যাবে। আখেরাতে যার প্রতিদান বেহেশত লাভ। হাদীস শরীফে এসেছে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‘কোন নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত (মুসলমান) নিজের প্রাপ্য (মাজলামা বা হক) আদায়ে যুদ্ধ করে নিহত হলে সে শহীদ।[2]

৩. ইসলাম ঘোষণা করেছে, সত্যের পথে, ন্যায় প্রতিষ্ঠায়, অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করাই উত্তম জিহাদ। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে হক কথা বলা (ন্যায় অধিকার প্রদান করার স্পষ্ট দাবী করাই) শ্রেষ্ঠ জিহাদ।[3]

দ্বিতীয়ত, ইসলাম এমন কথা বলে না যে, যেহেতু আল কুরআন আরবী ভাষায় এবং শেষ নবী সারা বিশ্বের মানুষের নবী আরবী ভাষা-ভাষী, সেহেতু সার বিশ্বের মানুষের ভাষা হবে আরবী। তাদের মাতৃভাষা ত্যাগ করে শুধু আরবী ভাষায় কথা বলতে হবে। এর সমর্থনে প্রমাণ স্বরূপ কুরআন-হাদীসে অনেক দিক পাওয়া যায় যেমন :

১. ইসলাম সারা বিশ্বের মানুষের মাঝে ভাষার বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্যকে স্বীকার করে নিয়েছে। এবং ঘোষণা করেছে, এ বৈচিত্র্য মানুষের হাতে গড়া নয়। এটা আল্লাহ পাকেরই সৃষ্টিকুলে এক রহস্যময় নিদর্শন স্বরূপ। কুরআনুল করীমে এসেছে, 'আর তার নিদর্শনাবলীর অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে বহু নিদর্শন। (আল কুরআন, সুরা রুম : ২১)

কথা বলা বা ভাব প্রকাশের যতগুলো বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে তার সবটাই সকল মানুষের মাঝে একই রকম। কিন্তু এতদসত্ত্বেও বিভিন্ন কোকিলের সুরে যেমন সাদৃশ্য পাওয়া যায়, তেমনি বিভিন্ন মানুষের সুরে ভাষায়ও সাদৃশ্য পাওয়া যায় না। তা ছাড়া পরিবেশ পরিস্থিতি তথা আবহাওয়াজনিত কারণে[4] বাকবিন্যাস বিচিত্রতা ও দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্নতার প্রেক্ষাপটে ভাষায় বিভিন্নতা অহরহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র মতে বর্তমান বিশ্বে ভাষার সংখ্যা ২৭৯৬টি। ক্রমান্বয়ে মানুষ বেড়ে যাচ্ছে। এ ক্ষুদ্র বাংলাদেশেই বাংলা ভাষাতে বৈচিত্র্য লক্ষ্যণীয়। তাই পৃথিবীর অসংখ্য ভাষাকে একটি ভাষায় রূপ দেওয়া ইসলামের উদ্দেশ্য নয় এ দুনিয়াতে। হাদীস শরীফে এসেছে, আল্লাহ পাক সব ভাষাই জানেন।[5]

২. আল্লাহ পাক এ সুন্দর বসুন্ধরার মানব জাতির হেদায়েতের জন্য প্রায় লক্ষাধিক নবী প্রেরণ করেছেন। এমনকি কুরআনুল করীমে এসেছে, ‘এমন কোনো জাতি নেই যার নিকট সতর্ককারী প্রেরিত হয় নি’। (আল কুরআন সুরা ফাতির : ২৪)

তাই হিন্দুস্থান, চীন, আরব, গ্রীক, তথা সরাবিশ্বের ভিন্ন ভাষা-ভাষী মানুষের নিকট আল্লাহ পাক যুগে যুগে নবী প্রেরণ করেছেন। আর তাঁদের ভাষা সম্পর্কে কুরআনুল করীমেও বলা হয়েছে, ‘এ পৃথিবীতে আমি যত নবী রাসূল পাঠিয়েছি, প্রত্যেক তার মাতৃভাষা তথা স্বজাতির ভাষাভাষী করেই পাঠিয়েছি, যেন তারা মানুষের নিকট আমর দেওয়া দাওয়াত স্পষ্টভাবে ব্যখ্যা-বিশ্লেষণ করতে পারেন।' (সুরা ইব্রাহিম : ৪) এ আয়াতের মাধ্যমেও ইসলাম পৃথিবীর সকল ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে।

৩. হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) দোভাষী নিয়োগ করতেন। সকল দেশের সকল ভাষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে মহানবী (সাঃ) যায়েদ বিন ছাবিত (রাঃ)কে বিদেশী ভাষা শিক্ষা করত : বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা বুঝে তাদের চিঠিপত্র পঠন, লিখন ও ভাব বিনিময়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মোট কথা, ইসলাম ভাষাগত জাতীয়তার ঊর্ধ্বে। বিশ্বজনীন ধর্ম হিসেবে সকল ভাষাই তার নিজস্ব। মানব সমাজের সকলের মাতৃভাষা চর্চা ও সমৃদ্ধি সাধনে সে অনুপ্রাণিত করে। এটা মানুষের জন্মগত অধিকার হিসেবে মনে করে। এতে কোনো রকম হস্তক্ষেপ ইসলাম অনুমোদন করে না।

ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে হলে তার মূল উৎস কুরআন ও সুন্নাহতে কী আছে, সর্বাগ্রে তাই দেখা উচিত। পরিশেষে ভাষা আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে যার যতটুকু ভালো আছে তা গ্রহণ করে এবং মন্দটুকু বর্জন করে উদার মন নিয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাতৃভাষার উৎকর্ষ সাধনে কাজ করা দরকার।

লেখক : অধ্যাপক, দাওয়া এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিস, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া



তথ্য নির্দেশ :

[1] সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান, সম্পাদনা : প্রফেসর আহমদ শরীফম, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৯২

[2] মুসনাদে আহমাদ, ২য় খণ্ড, পৃ-২০৫

[3] সুনানে ইবন মাজা, কিতাবুল ফিতান, ২য় খণ্ড, পৃ-৩৬৭

[4] দ্র. ইবনে খালদুন, আল মুকাদ্দিমা (বৈরুত,১৯৭৯), ১ম খণ্ড, পৃ-৭১

[5] সহীহ বুখারী

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর