thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

যৌনপল্লীতে অত্যাচার নিপীড়ন ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৪:৫৫:৪৭
যৌনপল্লীতে অত্যাচার নিপীড়ন ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবিদেক : যৌনপল্লীতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের অত্যাচার, নিপীড়ন, চাঁদাবাজি, হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক। একইসঙ্গে যৌনপল্লী উচ্ছেদ না করারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে যৌনকর্মীদের মানবাধিকার উন্নয়ন বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক এর কর্মকর্তারা এসব দাবি জানান।

‘হাসাব’ ও ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ নামের দু’টি সংগঠন এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।

সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক এর সহ সভাপতি ইভান আহমেদ কথা। বক্তব্য দেন সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক চুমকি বেগম, হাসাব এর নির্বাহী পরিচালক আলীসন সুব্রত বাড়ৈ, প্রোগাম অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম। যশোর যৌনপল্লীর রানিসহ বহু যৌনকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে ইভান আহমেদ কথা বলেন, যৌনপল্লী উচ্ছেদ বন্ধ এবং উচ্ছেদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যৌনকর্মীদের ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসনের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বৈষম্যমূলক আইন বিলোপ করতে হবে। বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে সুস্থ, সুন্দর ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। যৌনকর্মীদের সরকারি সেবা ও অর্থনৈতিক সুযোগগুলোতে প্রবেশাধিকার উন্নয়ন করতে হবে। যৌনকর্মীদের পারিবারিক ও সামাজিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে এক শ্রেণির মতলববাজ ও স্বার্থান্বেষী মানুষ ধর্মীয় অনুভূতিকে এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে দেশের ৮টি যৌনপল্লী উচ্ছেদ করেছে এবং বাকীগুলোকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সেখানকার যৌনকর্মীরা সবসময় আতংকের মধ্যে রয়েছে। পুলিশের নিষ্ঠুর আচরণে যৌনালয়ে খরিদ্দার আসতে পারছেনা। ফলে সেখানে তারা মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে এ যাবত ঢাকার কুমারটুলি, গঙ্গাজলি ও পাটুয়াটুলি, নারায়ণগঞ্জের টানবাজার, মাগুরা, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল ও ফুলতলা যৌনপল্লী উচ্ছেদ করা হয়েছে। জামালপুর, পটুয়াখালি, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাট ও রথখোলা এবং বাগেরহাট যৌনপল্লী একাধিকবার উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়েছে।

চুমকি বেগম বলেন, যৌনকর্মীরা বয়স্কভাতাসহ সরকারের কোনো ধরণের সুযোগ পায়না। তারা পায় শুধু নির্যাতন আর নিদারুণ বঞ্চনা। এ যাবত ২০ জনেরও বেশী যৌনকর্মী খুন হয়েছে যার কোনো বিচার আমরা পাইনি। ধর্মের নামে গায়ের জোরে আমাদের ৮টি পতিতালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে। মামলা করেও যার কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, এক বছর ধরে পতিতা পল্লীগুলোতে কনডম সরবরাহ করা হয় না। ফলে দেশে আবারও এইচআইভি’র ঝুঁকি বেড়েছে। যৌনকর্মীদের ‘সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত নারী’ বলা হচ্ছে অথচ তাদের নেই কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা। দেশে যৌনকর্মকে পেশা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের বাংলাদেশি নারীর আর কোনো উপায় না থাকলে যৌনকর্মে নিয়োজিত হওয়ার বিধান রয়েছে। তাহলে যৌনকর্মীরা বঞ্চিত কেন?

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এমকে/ফেব্রুয়ারি২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর