thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানের রিভিউ

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৭:৩১:০২
মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানের রিভিউ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা ও একই ঘটনায় পুলিশসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আপিলে বহাল থাকা মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেছেন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মুফতি হান্নানের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড নাহিদ সুলতানা রিভিউ আবেদন করেন। রিভিউ মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের আরজি জানানো হয়েছে। এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন সিলেট কারাগারে আটক রয়েছেন।

গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মুফতি হান্নানসহ আসামিদর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। গত ১৮ জানুয়ারি ৬৫ পৃষ্ঠার আপিলের রায় প্রকাশিত হয়।

এই মামলায় মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুজন হলেন- শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন। এছাড়া হাইকোর্টে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল আপিল করেননি।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।

ঘটনার দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র প্রদান করা হলে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। অন্যদিকে মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন। প্রায় সাত বছর পর ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। পরে বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই বছর ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

পরে একই বছর ১৩ জুলাই হাইকোর্টে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল। তাদের সঙ্গে আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপনের পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত করে একইসঙ্গে তিনজনের আপিল শুনেন আপিল বিভাগ।

গত বছর ১৫ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা মুফতি হান্নানসহ তিন আসামির করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। সেই আপিল শুনানি গত ৩০ নভেম্বর শুরু হয়, যা শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর। শুনানি শেষে ৭ ডিসেম্বর তিনজনের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর