thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

৮ বছরে ৮১টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র : নসরুল হামিদ

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৭:৪০:২০
৮ বছরে ৮১টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র : নসরুল হামিদ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুতের সক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালের ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট হতে ১৫ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াটে (ক্যাপ্টিভসহ) উন্নীত হয়েছে। জানুয়ারি ২০০৯ সাল হতে জানুয়ারি ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৮১টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যার স্থাপিত ক্ষমতা ৭ হাজার ৬৩২ মেগাওয়াট। এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত হতে ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত নুরুল ইসলাম মিলনের (কুমিল্লা-৮) এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ এসব তথ্য জানান। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

জাতীয় সংসদকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ৬৫টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র (নির্মাণাধীন ও দরপত্র প্রক্রিয়াধীন) স্থাপনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হতে (নির্মাণাধীন ও দরপত্র প্রক্রিয়াধীন) ১৬ হাজার ৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

২০২১ সালে বিদ্যুত উৎপাদন ২৪ হাজার মেগাওয়াট

বেগম সানজিদা খানমের (মহিলা আসন-২৪) এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এ লক্ষ্যে বর্তমানে মোট ১১ হাজার ৩০২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৭ সাল হতে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যাক্রমে চালু হবে। এছাড়া ৪ হাজার ৭২৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৮ সাল হতে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এসব কেন্দ্র চালু হবে।

বেসরকারি খাতে ৫২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন

দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমান সরকার বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহকে ১৫ বছরের জন্য কর্পোরেট আয়কর হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিসমূহ কর্তৃক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এবং ইকুপমেন্ট কোনো প্রকার কাসটমস চার্জ, ভ্যাট ইত্যাদি ছাড়াই আমদানির অনুমতি, বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট চালুর ১২ বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় স্পেয়ার পার্টস এর মোট মূল্যের ১০ শতাংশ কাস্টমস চার্জ, ভ্যাট ইত্যাদি ছাড়াই আমদানির অনুমতি, বৈদেশিক কোম্পানিসমূহ লভ্যাংশসহ ইক্যুইটি ফেরতের সুযোগ, বৈদেশিক ঋণের সুদের উপর কর মওকুফ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সুবিধাদির কারণে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫২ শতাংশ বিদ্যুৎ বেসরকারিখাত হতে উৎপাদিত হচ্ছে।

২০২১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩১৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বেশিদিনের নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি হতে মোট ৩ হাজার ১৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

৫০ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন

রহিম উল্লাহর (ফেনী-৩) এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় চীন সরকারের সহায়তাপুষ্ট জিটুজি প্রকল্পের ৫০ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

উৎপাদনে ১০৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র

আলী আজমের (ভোলা-২) আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১০৮টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। যার স্থাপিত ক্ষমতা মোট ১২ হাজার ৫৫১ মেগাওয়াট। এছাড়া ভারত হতে আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া

মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের (নাটোর-২) এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে (বড়পুকুরিয়া) কয়লাভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২টি ইউনিট চালু আছে। ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতারতৃতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট ৫ হাজার ৬৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি মেগা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৯ হতে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া সরকারিখাতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি মেগা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে। বর্তমানে ৫ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫টি মেগা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর