thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা মামলা প্রত্যাহার : সংসদে ক্ষোভ

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৮:৪০:০৫
রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা মামলা প্রত্যাহার : সংসদে ক্ষোভ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা মামলা প্রত্যাহারে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান (মেসবাহ)। এ নিয়ে সংসদে বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়।

জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পীর ফজলুর রহমান। তার বক্তব্যের পরপরই পাল্টা বক্তব্য দিয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এটিকে ‘সরকারে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে এরশাদের শাসনামলের মইজুদ্দিন হত্যা মামলার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেও পাল্টা ক্ষোভ জানান তিনি।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোর একটি সংবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘আবারও রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৯৯০ এর পরবর্তী সময়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না হলেও ওই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৬টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়। এসব মামলার বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সরকারের দুই আমলে করা। আবার ওইসব মামলার বাদীসরকার নিজেই।’


তিনি আরো বলেন, ‘এভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা মামলা প্রত্যাহার করা হলে যাদের পরিবারের সদস্য খুন হয়েছে তারা কি বিচার পাবে না? এই হত্যা মামলায় কেউ না কেউ তো খুন হয়েছে।’

এ সময় ডেপুটি স্পিকার পীর ফজলুর রহমানকে বার বার থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বসতে বলেন। এক পর্যায়ে পীর ফজলুর রহমান তার বক্তব্য শেষ করলে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আপনি একটি খবরের কাগজের ওপর ভিত্তি করে কথাগুলো বলছেন। আপনার জানা উচিত, না জানা থাকলে জেনে নেন।সরকার চাইলে যে কোনো মামলা প্রত্যাহার করতে পারে, যদি সুনির্দিষ্ট গ্রাউন্ড থাকে।’


পরে পীর ফজলুর বক্তব্যের বিরোধিতা করে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘বিরোধীদলে থাকলে অনেক কথাই বলা যায়। পত্রিকায় খবর দিয়ে অনেক খবর দেওয়া যায়, কোনটা সত্য কোনটা অসত্য এটা যাচাই করার সুযোগ থাকে না।’

তিনি এ সময় পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখন আমাদের গাজীপুরের মইজুদ্দিন ভাই যে মার্ডার হলেন; তাকে যারা মারল, সেই ভদ্রলোকের নাম আজম। এরশাদ তখন ওই জায়গায় গিয়ে তাকে ভাই বলে পরিচয় করে দিয়ে মইজুদ্দিন হত্যার মামলার আসামিকে মামলা থেকে অব্যহতি দিলেন। আজ উনি ৩৪টি মামলার কথা বলেছেন, পত্রিকা দেখে এই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেওয়া তার বক্তব্য কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ‌বরং বিএনপি ও এরশাদের আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, স্বাধীনতাবিরোধীদের মামলা, কোনো মামলাই সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেননি। উল্টো আসামিদের রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্য পদে সুযোগ দিয়েছিলেন।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর