thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

সকল কলকারখানা ঢাকার বাইরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৮:৫৫:৪১
সকল কলকারখানা ঢাকার বাইরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করার উদ্দেশে সকল প্রকার কলকারখানা শহরের বাইরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, ‘ঢাকাকে বাসযোগ্য করার জন্য শহরের মধ্যে থেকে সকল প্রকার কলকারখানা শহরের বাইরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। উক্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর আওতায় সাভারে ১৯৯ দশমিক ৪০ একর জমির উপর অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি আরো বলেছেন, ‘ঢাকার মেট্রোপলিটন আবাসিক এলাকা, বিশেষ করে পুরোনা ঢাকার ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা থেকে, কেমিক্যাল মজুদাগার ও কারখানা দ্রুত সরানোর জন্য বিসিকের আওতায় কেরাণীগঞ্জ উপজেলাধীন সোনাগান্ধা মৌজায় কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’

দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী সাভার শিল্পনগরীর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেছেন, ‘হাজারীবাগে অপরিকল্পিত, দীর্ঘদিনের পুরনো, অবিন্যস্ত ও দূষিত পরিবেশে বিদ্যমান ১৫৫টি ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে উক্ত শিল্পনগরীতে ২০৫টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বাকিগুলো নির্মাণাধীন পর্যায়ে রয়েছে।’

আমির হোসেন আমু আরো বলেছেন, ‘হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পনগরীতে চামড়া কারখানা স্থানান্তর করা হলে কাঁচা চামড়ার দর বিশ্ব বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদন সম্ভব হবে এবং রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

আ ফ ম বাহাউদ্দিনের (নাছিম) প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, ‘বর্তমানে বাজারের কিছু নিম্নমানের মিনারেল ওয়াটার রয়েছে। তবে নিম্নমানের মিনারেল ওয়াটারে বাজার সয়লাব হওয়ার বিষয়টি যথাযথ নয়। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার লোভে অবৈধভাবে নিম্নমানের ড্রিংকিং ওয়াটার বাজারজাত করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই, আইনশৃংখলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর