thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

সাত দিনের ‘ভিতরগড় উৎসব-২০১৭’

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৮:৪৯:২০
সাত দিনের ‘ভিতরগড় উৎসব-২০১৭’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবিদেক : বাংলাদেশের সকল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা বাড়াতে পঞ্চগড়ের ভিতরগড় প্রত্নস্থলে আগামী ১১ মার্চ শুরু হচ্ছে সাত দিনের `ভিতরগড় উৎসব-২০১৭’। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উৎসবের কথা জানানো হয়। আগামী ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে উৎসব।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর সহযোগিতায় সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর সহযোগিতায় সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ (সিএএস) এ উৎসব আয়োজন করছে। জনসাধারণকে এ যাবত আবিষ্কৃত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গনগরীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও এর প্রয়োজনীয়তা অবগত করার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে এই উৎসব।

পাশাপাশি উৎসবের মাধ্যমে ভিতরগড় প্রত্নস্থল ও এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা হবে।

১১ মার্চ উদ্বোধন, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও পাক্ষী খেলার মধ্য দিয়ে কাটবে উৎসবের প্রথম দিন। এ উৎসবে থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পাক্ষী খেলা, হুলির গান, হাঁস খেলা, সত্যপীরের গান, লাঠি খেলা ইত্যাদি।

সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন ইউল্যাব এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জহিরুল হক, সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ (সিএএস), ইউল্যাব এর পরিচালক প্রফেসর ড. শাহনাজ হুসনে জাহান, প্রত্নতত্ত্ব উপরিচালক (প্রত্ন) মো. আমিরুজ্জামান, প্রফেসর মো. শরীফ প্রমুখ।

প্রফেসর ড. জহিরুল হক বলেন, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক গবেষণা এবং সংরক্ষণে ইউল্যাব নিয়মিত ভুমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউল্যাব ২০০৮ সাল থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও সংরক্ষণের কাজ করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে এই গবেষণার কাজকে আরও বেগবান করতে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়মিত অর্থায়ন এবং সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে।

প্রফেসর ড. শাহনাজ হুসনে জাহান বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে ৮-৯ শতকে নির্মিত ৯টি স্থাপত্যের ভিত্তি কাঠামো এবং মাটি ও ইট দিয়ে তৈরী চারটি বেষ্টনীর প্রকৃত স্বরূপ, পরিখা, প্রাচীন দশটি দিঘিসহ নানা ধরনের মাটি, লোহা, কাসা ও পাথর নির্মিত প্রত্নবস্তু। যা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ইতিহাস আলোচনা অমূল্য উপাদান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/কেআই/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর