thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

পুনরায় নিবন্ধনের দাবি হাবের

হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৬ ১৫:৫৮:৫৭
হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ

কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : চলতি বছরের হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধনের ই-হজ ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত আইটি ফার্ম ‘বিজনেস অটোমেশন’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনেছে হজ এজেন্সিগুলো। এ অনিয়মের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং কয়েকটি ব্যাংকের শাখা কর্মকর্তারও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

হজ এজেন্সিগুলোর অভিযোগ, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আইটি প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সিস্টেম কারসাজির মাধ্যমে কিছু এজেন্সিকে ডাটা এন্ট্রির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিজনেস অটোমেশনের অনিয়মের কারণে পাঁচশতাধিক এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের প্রাক নিবন্ধন নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে পারেনি। ফলে এসব এজেন্সির অধিকাংশেরই কোনো হজযাত্রী এ বছর হজে যেতে পারছেন না।

হাব নেতারা সদ্য শেষ হওয়া হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করে পুনরায় নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই হাবের পক্ষ থেকে অনিয়মের বিষয়টি ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। তবে অনলাইন জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজনেস অটোমেশন কর্তৃপক্ষ।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাক নিবন্ধন শুরুর প্রথম তিনদিনেই প্রাক নিবন্ধনের সিরিয়াল চলতি বছরের সৌদি সরকার নির্ধারিত বেসরকরি হজযাত্রীদের নির্ধারিত কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫২ জনের কোটার ছাড়িয়ে যায়। আর এই সময়ের মধ্যেই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বার বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, গোপনে নোটিশ জারি, রাতেও ব্যাংকে ভাউচার গ্রহণ, মফস্বল এলাকায় ব্যাংকের শাখায় রহস্যজনকভাবে বেশি হজযাত্রীর প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়া, ঢাকায় কয়েকটি ব্যাংকে সকাল ১১টায় টাকা জমার পর তা বিকেল ৫টার পোষ্টিং হয়ে প্রাক নিবন্ধনের সিরিয়াল পড়ার ঘটনা ঘটে।

এই অনিয়মের বিষয়টি পরিস্কার হওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হাব কার্যালয়ে হাবের জরুরি ইসি সভায় এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির পাশাপাশি বিকল্প কয়েকটি প্রস্তাব দিয়ে হাব নেতারা ধর্মমন্ত্রীর বাসায় যান।

২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেও রাতে মন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তা স্থগিত করে হাব। মন্ত্রী অনিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সমস্যা সমাধানে হাবের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব চান। হাব নেতারা ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মন্ত্রীকে লিখিত প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারপর এ ব্যাপারে আর কোনো কিছুই জানানো হয়নি।

চলতি বছর সরকারি বেসরকরি মিলে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ১০ হাজার। এছাড়া গত বছরের প্রাক নিবন্ধিত হজযাত্রী রয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৯৪ জন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ বিষয়ক ওয়েব পোর্টালে দেওয়া তথ্যানুযায়ী গত বছরের ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৫ জনের সিরিয়াল থেকে এ বছরের নতুন প্রাক নিবন্ধন শুরু হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাক নিবন্ধনের সিরিয়াল দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭০২ জন।

হজ এজেন্সিগুলোর অভিযোগ, প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম অযৌক্তিক, অস্বচ্ছ ও বেআইনি পন্থায় সম্পন্ন হওয়ার কারণেই তারা নিবন্ধনের সিরিয়াল নম্বরে পিছনে পড়ে গেছেন। প্রথম দিকেই ডাটা এন্ট্রি, ব্যাংক ভাউচার প্রিন্ট এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পরও ধর্ম মন্ত্রণালয় ও আইটি প্রতিষ্ঠানের বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, কিছু এজেন্সিকে আইন লংঘন করে ডাটা এন্ট্রির সুযোগ দেওয়াসহ আইটি প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সিস্টেমে কারসাজির কারণে তাদের প্রাক নিবন্ধনে বিলম্বে হয়েছে এবং তারা সিরিয়ালে পিছনে পড়ে গেছেন।

এই প্রাক নিবন্ধন বহাল রাখলে এই বিরাট অংকের এজেন্সির বেশির ভাগেরই কোনো হজযাত্রীই এ বছর হজে যেতে পারবেন না। এ কারণে শতশত হজ এজেন্সি যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে রয়েছেন তেমনী এ খবর হজযাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরিসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনারও আশংকা করছেন তারা।

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনিয়মের ঘটনা

ধর্ম মন্ত্রণালয়র এক সার্কুলারে (নং-১৬.০০.০০০০.০০৩.৩০.০০২.২০১৬-৩১৫) উল্লেখ করা হয়, নিবন্ধন চালুর পর থেকে কোনো হজ এজেন্সি যদি নিয়মের বাহিরে কোনো রকম কার্যক্রম করে বা ডাটা এন্ট্রি /ভাউচার/ টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতির বাহিরে অস্বাভাবিক এবং অনিয়ম সংঘটন করে, তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্মারকে বলা হয়েছিল একটি এজেন্সি তাদের নির্ধারিত কোটা ১৫০ জনের কম হলে ব্যাংকের কোনো ভাউচার জমা দিতে পারবে না এবং কোনো ব্যাংক আংশিক হজযাত্রীর কোনো ভাউচার গ্রহণ করবে না।

অথচ ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকেই জানা যায়, ২৯৩টি এজেন্সি ১৮টি ব্যাংকের ৮৬ শাখার মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার হজযাত্রীর ভাউচার জমা দিয়ে প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করে ফেলেছে। অথচ যাদের কেউই ১৫০ জনের কোটা পুর্ণ করেনি। এই জন্য তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ওইদিন রাত ৯ টায় কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করা হয়। একই নোটিশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর প্রতিও জারি করা হয়। যা হজ নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পরক্ষণেই রাতে আবার দেখা যায় আরেকটি স্মারকে (নং-১৬.০০.০০০০.০০৩.৩০.০০২.১৬-৩৩৪ নং) তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তাদের জমা দেওয়া ভাউচারগুলোও বাতিল করা হয়নি। অথচ অনিয়মকারীকে শাস্তি দেওয়ার কথা ছিল। এতে সম্পূর্ণ অনিয়মের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে উঠে। এতে যারা সরকারের আইন মেনে একত্রে ভাউচার জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা প্রাক নিবন্ধনে উন্মোক্ত প্রতিযোগিতায় শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী হজ এজেন্সিগুলো জানায়, আবারও ১৮ ফেব্রুয়ারি স্মারক নং-১৬.০০.০০০০.০০৩.৩০.০০২.১৬-৩২৭ এর মাধ্যমে এবং ২০ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় যে, কোনো আংশিক অর্থ্যাৎ ১৫০ জনের কমের হজযাত্রীর ভাউচার জমা দেওয়া যাবে না। অথচ ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় এজেন্সিগুলোর ডাটা এন্ট্রির নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭টা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ গোপনীয়ভাবে আবারও সার্ভার ওপেন করা হয়। আগের নোটিশে ব্যাংক টাকা জমা নেওয়ার জন্য বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলা হলেও আকষ্মিক গোপনীয় নোটিশ জারি করে বলা হয় ব্যাংক ৭টা পর্যন্ত ভাউচার জমা নেবে। এ নোটিশটি সার্ভারে প্রকাশ করা হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অর্থাৎ নির্ধারিত সময় অতিক্রমের পরে। যখন অধিকাংশ এজেন্সি সার্ভার বন্ধ করে চলে যায়। অথচ ওইদিন ওই সময়ের মধ্যেই অধিকাংশ এজেন্সির অগোচরে কিছু এজেন্সির প্রায় ৩০ হাজার হজযাত্রীর আংশিক ভাউচার ডাটা সার্ভারে গ্রহণ করা হয় এবং তাদের প্রাক নিবন্ধনের সিরিয়াল পড়ে যায়। আর যারা নিয়ম মেনে ১৫০ জনের ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ছিল তারা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ে যায়।

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আবার রহস্যজনকভাবে নতুন সার্কুলার জারি করে জানানো হয়, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫০ জনের কম হলেও ব্যাংকে ভাউচার জমা দেওয়া যাবে। এই নোটিশটি রাতে ছাড়ার কারণে অনেকের দৃষ্টিতেও আসেনি। পরদিন শহীদ দিবস উপলক্ষে সরকারি বন্ধ ছিল। অনিয়মকারিদের সুবিধা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

২২ ফেব্রুয়ারি তড়িগড়ি করে সকাল ১১টার মধ্যেই নির্ধারিত ব্যাংকে ভাউচারসহ টাকা জমা দেয় পিছিয়ে পড়া অনেক এজেন্সি। ব্যাংকও নিশ্চিত করে যে, তারা কোটার সিরিয়ালের মধ্যেই থাকবে। কিন্তু ভাউচার জমার ৫ থেকে ৭ ঘন্টা ব্যাংকে অপেক্ষার পর তারা জানতে পারে তাদের ভাউচার জমা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সিরিয়াল পড়েছে কোটার বাইরে একেবারে শেষের দিকে। অথচ এই ৫/৭ ঘন্টার মধে ঢাকার বাইরে মফস্বল ও বিভাগীয় শহর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা থেকে এক লাখেরও বেশি ভাউচার জমা পড়ে। ঢাকায় ব্যাংকের বড় শাখাগুলোর অনেকগুলোতেই যেখানে ২০০ জনের ভাউচার জমা হয়নি সেভাবে দেখা যায় ঢাকার বাইরে কোনো শাখা থেকে দুই হাজারেরও বেশি হজযাত্রীর ভাউচার জমা পড়েছে। চট্টগ্রামের মুরাদপুর আল আরাফা ব্যাংকের শাখা থেকেই দুই হাজার ৫২৭ জনের প্রাক নিবন্ধনের রেকর্ড রয়েছে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাবের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার ‘২০১৭ সালের হজে হজযাত্রীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাক-নিবন্ধনে চরম বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিষয়টি নিরসনে হস্তক্ষেপ কামনা’ করে ধর্মমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘....বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাপ্ত কোটা হতে ৫০ হাজারের অধিক হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছে। যাদের পক্ষে ২০১৭ সালে (চলতি বছর) হজে যাওয়া হবে না। ’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘অধিকাংশ এজেন্সি ডাটা এন্ট্রি করে পেমেন্ট ভাউচার প্রিন্ট করে সময় মতো ব্যাংকে জমা করলেও আইটি জটিলতার কারণে ৪-৫ ঘণ্টায়ও পেমেন্ট অনুমোদন পায়নি। অপরদিকে কিছু এজেন্টি ১০-২০ মিনিটের মধ্যে পেমেন্ট অনুমোদন পেয়ে গেছে। অর্থাৎ ঘণ্টার পা ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও আইটির জটিলতার কারণে টাকা জমা দেওয়ার পরও আইটি থেকে সিরিয়াল পায়নি। অনেকে আইটির সহজলভ্যতার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন করতে সক্ষম হন। এহেন জটিল কার্যক্রমে হজ এজেন্সিগুলোকে সময়ক্ষেপন করতে হয়।.......জীবন সায়াহ্নে অনেক হজযাত্রী হজে যেতে সক্ষম হবেন না বিধায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন।’

এমতাবস্থায় সমস্যা সমাধানে ব্যাংকে টাকা জমাদানের সময় অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধন সিরিয়াল দেওয়া ও সমতার ভিত্তিতে হজযাত্রী বন্টনের দাবি জানান হাব সভাপতি।

এ ব্যাপারে হাবের মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আইটির কারণেই এসব অনিয়ম হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে মন্ত্রী মহদয়কে এ বিষয়ে লিখত জানিয়েছি। আমরা অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হওয়া প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করে নতুন করে পুনরায় প্রাক-নিবন্ধন করার দাবি জানাচ্ছি।’

তবে বিজনেস অটোমেশন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধনের জন্য নিয়োজিত এই আইট প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার (প্রজেক্ট) মো. কবির আল মামুন দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, প্রাক-নিবন্ধনের সময় সার্বক্ষণিক আমাদের সঙ্গে বুয়েট এবং মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল টিম কাজ করেছেন। তা সবকিছু মনিটরিং করেছেন। এখানে অনিয়মের ঘটেনি।

এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিলের কাছে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এস/এমকে/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর