জেলা আদালত থেকে আয় ১০৫ কোটি টাকা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের জেলা জজ আদালতগুলো থেকে মোট ১০৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৯ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (ডিসেম্বর-২০১৬) এসব আদালত থেকে ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪০ টাকা আয় হয়েছে বলে জানান তিনি।

জাতীয় সংসদে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টেবিলে উত্থাপিত নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের (ভোলা-৩) এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান মন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

সালিশে অমানবিক সাজা দেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা

রহিম উল্লাহর(ফেনী-৩)প্রশ্নের জবাবে আনিসুলক হক জানান, গ্রাম্য সালিশদার, মেম্বর, চেয়ারম্যানদের প্রকাশ্যে বিচারের মাথার চুল কেটে দেওয়া, কান ধরে ওঠবস করানো, নাকে খত দেওয়া, গলায় জুতার মালা পরানো, ঝাড়ু পেটা করে বাজারে ঘুরানো ইত্যাদি সাজা অমানবিক হওয়ায় সেসব বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্রাম্য শালিশদার, মেম্বর বা চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অমানবিক সাজা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে এ ব্যাপারে সরকার সচেতন রয়েছে এবং জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

৩ বছরে ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭টি মামলা নিষ্পত্তি

সুবিদ আলী ভুঁইয়ার (কুমিল্লা-১) এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী সংসদকে জানান, বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের (দ্বিতীয় মেয়াদ) পর হতে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের আদালতে ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২০১৬ সালের জুলাই হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ২৯ হাজার ৮১৫ জনকে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বিকল্প নিষ্পত্তি সেবার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৭ টাকা আদায় করা হয়েছে।

আনিসুল হক আরও জানান, মানুষের দোরগোড়ায় বিচারকার্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৫টি চৌকি আদালত স্থাপন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ৫জনের জনবলসহ ২০১৬ সালের ১৫ জুন একটি যুগ্ম জেলা জজ আদালত সৃজন করা হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশের পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষে সলিসিটরের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল কাজ করছে। মনিটরিং সেল গঠিত হওয়ার পর থেকে দেশের বৃহত্তর জেলাগুলোতে পর্যায়ক্রমে ৫-১০ বছর ও ১০ বছরের অধিক সময়ের পুরাতন ফৌজদারী মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করছে এবং মামলাগুলো নিষ্পত্তির লক্ষে সুপারিশমালা প্রণয়ন করছে।

সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৫১৬ জন কর্মকর্তাকে বিদেশে এবং ১৫৮ জনকে দেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)