thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

গত সাড়ে ৩ দশকে পোশাকখাতের ৪ বিপর্যয়

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৬ ১৭:৪৮:৪২
গত সাড়ে ৩ দশকে পোশাকখাতের ৪ বিপর্যয়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গড় সাড়ে ৩ দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাতে রানা প্লাজাসহ ৪টি বড় বিপর্যয় দেখা যায়। যা বাংলাদেশ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বলে ‘২০১৩ পরবর্তী গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিকদের সমস্যা এবং প্রাপ্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা জানিয়েছেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘২০১৩ পরবর্তী গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিকদের সমস্যা এবং প্রাপ্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা জানান।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত সাড়ে তিন দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে চারটি বড় বড় বিপর্যয় দেখা দেয়। যা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫-৯৬ সালে পোশাকখাতে কোটামুক্ত তৈরি প্রবেশের মাধ্যমে। এরপরে বাংলাদেশের পোশাকখাত শিশুশ্রম মুক্ত করা ছিল দ্বিতীয় বিপর্যয়। ২০০৮-০৯ সালে যখন বৈশ্বিক মন্দায় তৃতীয় বিপর্যয়। আর ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসে সর্বশেষ বিপর্যয় দেখা দেয়।

বক্তারা জানান, এত দুর্যোগ আর ঝুঁকির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাত সমৃদ্ধি লাভ করছে। দেশের তৈরি পোশাক খাত সর্বদা একটি বৈশ্বিক ঝুঁকির মধ্য থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত হিসেবে টিকে রয়েছে। বাস্তব এ ঝুঁকির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাত আরও বাড়বে। ঝুঁকি যাবে আবার নতুন ঝুঁকি আসবে। এ ঝুঁকির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাত বিকাশ লাভ করবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাত টিকে থাকার মত যোগ্যতা দেখিয়েছে। বৈশ্বিক বিবর্তনশীল, পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য পোশাকখাত প্রতি মুহূর্তে কাঠামো ও নীতিগত সংস্কারে মধ্য দিয়ে গেছে।

দেশিয় শিল্প উদ্যোক্তাদের দ্বারা সৃষ্টি হওয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বড় শক্তি বলে জানান বক্তারা। দেশিয় উদ্যোক্তাদের ফলে দেশের অভ্যন্তরে থেকে সংস্কার, পরিবর্তন করে এ খাতকে টিকেয়ে রেখে উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বক্তারা বলেন, তৈরি পোশাকখাতে সংস্কার, আধুনিকায়ন ও অন্যান্য নিয়ম-কানুন মানতে গিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট কারখানাগুলো। সংস্কার, আধুনিকায়ন করতে গিয়ে কারখানা বন্ধ, শ্রমিক ছাঁটাই, পুঁজি হারিয়ে ফেলছে উদ্যোক্তারা। এ বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। পোশাক খাতের সমস্যা নিরসনে এ খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে একটি সামাজিক সংলাপ প্রয়োজন। অর্থবহ এ সামাজিক সংলাপ শুধু সরকার, পোশাক শিল্পদের দিয়ে হবে না। পোশাক খাতের ক্রেতা, ব্যবহারকারী, রফতানিকারকসহ সবাইকে সংযুক্ত করতে হবে। কাঠামো ও প্রক্রিয়াজাতের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি দেখতে হবে।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সান ফ্রানসিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ এর প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ডেইলি স্টার এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার শাহেদুল আনাম খান (অব.), নারী উদ্যোক্তা ও মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যাঞ্জেলর ড. আনোয়ারুল হক শরীফ, বিআইএসি এর চিফ এক্সিকিউটিভ ড. তৌফিক আলী, বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, সিপিডির পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, বিজিএমইএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান বাবুসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানের যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির আরবান ল্যাব ও ডেইলি স্টার।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর