thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৬ ২০:২৬:০৪
যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা

কুয়াকাটা প্রতিনিধি : মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কিরণচন্দ্র দাসের বিচার শেষ পর্যন্ত জুতাপেটা ও সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

ঘটনার তিনদিন পর রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শেষ বিকেলে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে বিচারটি শেষ হয়।

প্রতক্ষর্দীরা জানান, মদ পান করে বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে বাজারের পাহারাদার ওয়ারেছ আকনকে লাঞ্ছিত করে মহিপুরের ইউপি সদস্য ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে নব্য যুবলীগ নেতা কিরণ চন্দ্র দাস। এর প্রতিবাদে মদ্যপ কিরণ চন্দ্র দাসের প্রকাশ্য বিচার দাবিতে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিক্ষোভ করে ব্যবসায়ীরা। পরে বেসামাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বিচারের অপেক্ষায় থাকেন।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি বিচারের দাবিতে রবিবার বিকেলে মহিপুরের ব্যবসায়ীদের পাশপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দুই সহস্রাধিক মানুষ জড়ো হয়। সেখানে বিচারকের আসনে ছিলেন মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ছালাম আকন এবং মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানসহ ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃস্থানীয়রা।

বিচারের রায় ঘোষণায় প্রকাশ্যে ২৫ ঘা বেত্রাঘাত ও উপস্থিত সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার কথা বললে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘোষিত রায় প্রত্যাখ্যান করে হট্টগোল দেখা দেয়। ওসি মিজানুর রহমান এ সময় জনরোষ থামাতে রায় পরিবর্তন করে অপরাধী কিরণ দাসকে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন এবং তার বাবা নিমাই চন্দ্র দাসকে দিয়ে জুতাপেটার মধ্য দিয়ে বিচার কাজ সমাপ্ত করেন।

কিরণ দাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মহিপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মহিপুরকে থানায় উন্নীতের পরে যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ঢুকে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এদিকে বিচার সম্পন্ন করার কথা স্বীকার করে মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের আবেগ ও সংখ্যালঘুর বিষয়টি মাথায় রেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে সতর্কতার সাথে বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

(দ্য ‍রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর