thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

রেলওয়ের জমিতে হবে মেডিকেল কলেজ, পাঁচ তারা হোটেল ও শপিংমল

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৬ ২২:৪৪:১৮
রেলওয়ের জমিতে হবে মেডিকেল কলেজ, পাঁচ তারা হোটেল ও শপিংমল

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবহৃত জায়গায় মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পাঁচ তারকা হোটেল, শপিংমল, গেস্ট হাউজ এবং কন্টেনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ করতে চায় রেলপথ মমন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১টি প্রকল্পের তালিকা যোগ করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি অংশে ২ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পগুলো সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি কাজে লাগানো, রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সেবা ও ভ্রমণকারীদের সেবা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেছেন, ‘প্রায় সবগুলো প্রকল্পেই বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে সাড়া মিলেছে। বর্তমানে দরপত্রসহ বিভিন্ন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো দেখছে পিপিপি কর্তৃপক্ষ।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এসব প্রকল্প চলতি অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। আবার নতুন করে আরএডিপিতেও যুক্ত করা হচ্ছে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা সাড়া দিয়েছে কিনা সেটি বলতে পারছি না।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, পিপিপিতে যেসব প্রকল্প যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-ঢাকার কমলাপুরে রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যহৃত জমির ওপর ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ, ৫০ আসনের একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ। এটি বাস্তবায়নে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমিতে ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ, ৫০ আসনের একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং বিদ্যমান হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ; এক্ষেত্রে বেসরকারি অর্থায়ন ৮০ কোটি টাকা। খুলনায় অব্যবহৃত জমিতে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ; বেসরকারি অর্থায়ন ৮০ কোটি টাকা। নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমিতে ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ; এতে বেসরকারি অর্থায়ন ৬০ কোটি টাকা। পাবনার পাকশীতে রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমিতে ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতাল আধুনিকায়ন করে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ; বেসরকারি অর্থায়ন ৬০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

মেডিকেল কলেজ ছাড়াও চট্টগ্রাম রেলওয়ের পে এন্ড ক্যাশ অফিসের পূর্ব পাশে অব্যবহৃত জমিতে একটি শপিংমল কাম গেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ৯২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কুমিল্লা রেলস্টেশনের কাছে রেস্টহাউজের পাশে অব্যবহৃত জমিতে শপিংমল কাম গেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হবে। এতে বেসরকারি অর্থায়ন ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। খুলনা রেলস্টেশনের পাশে অব্যবহৃত জমিতে শপিংমল কাম গেস্টহাউজ নির্মাণ করা হবে। এতে বেসরকারি অর্থায়ন ২৪০ কোটি টাকা। রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেল ও শপিংমল নির্মাণ করা হবে; বেসরকারি অর্থায়ন ৭৫০ কোটি টাকা। চট্টগ্রামে একটি আর্ন্তজাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করা হবে। এতে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা এবং ধীরাশ্রম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি নতুন আইসিডি নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

পরিবহন খাতে পিপিপিতে আরও ৭ প্রকল্প

অন্যদিকে পরিবহন খাতের মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কনস্ট্রাকশন এন্ড অপারেশন অ্যাট-টু ইনকমপ্লিট জেটিস অব মোংলা পোর্ট অথরিটি অ্যাট মোংলা প্রকল্পটি যুক্ত হচ্ছে আরএডিপির তালিকায়। এ ক্ষেত্রে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া কনস্ট্রাকশন অব মোংলা পোর্ট টাওয়ার প্রকল্প রয়েছে। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কনস্ট্রাকশন এন্ড অপারেশন অব ইনল্যান্ড কন্টেনার টার্মিনাল অ্যাট কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ, ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৫ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাপ্লাই-ইন্সটলেশন এন্ড কমিশনিং অব এ মাল্টি মোড সার্ভিলেন্স সিস্টেম অ্যাট হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট; ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ডেভেলেপমেন্ট অব ট্যুরিজম রিসোর্ট এন্ড ইন্টারটেইনমেন্ট ভিলেজ অ্যাট পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স কক্সবাজার এবং এস্টাবলিস্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ট্যুরিজম কমপ্লেক্স অ্যাট কক্সবাজার এ প্রকল্প দুটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এস/জেডটি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর