thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

আপিল বিভাগের নির্দেশ

১৪ মার্চের মধ্যে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১০:৩১:৩৬
১৪ মার্চের মধ্যে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট জারিতে ফের সময় পেল সরকার। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে গেজেট প্রকাশে সরকারকে নতুন করে সময় বেধে দিয়েছে আপিল বিভাগ। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ সময় মঞ্জুর করেন।

সবশেষ ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের গেজেট জারিতে ২ সপ্তাহের সময় দিয়েছিল আপিল বেঞ্চ। কিন্তু ২ সপ্তাহের মধ্যে গেজেট জারি না হওয়ায় সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এটি ফের কার্যতালিকায় আসলে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন জানায়।

অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট জারিতে এর আগেও কয়েক দফা সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সময় নিলেও গেজেট জারি করেনি সরকার।

নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় ৮ ডিসেম্বর আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে তলব করেছিল আপিল বিভাগ।

এরই মধ্যে ১১ ডিসেম্বর রাতে আইন মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রের মাধ্যমে জানায়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

তবে রাষ্ট্রপতির এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ দ্বিমত পোষণ করেন। আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বিধি প্রণয়ন সম্পর্কে আপিল বিভাগ বলেন, এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন। এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই।

রাষ্ট্রপতি ও আপিল বিভাগের ভিন্নমতের কারণে গেজেট জারিতে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা নিরসনে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় গেজেট জারিতে সরকারের পক্ষ থেকে সময়ের আবেদন জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন ‘রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই। আমি আদালতকে বলেছি, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আদালত আমাকে লিখিতভাবে উল্লেখ করে দরখাস্ত করতে বলেছেন।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘রুলস ফ্রেম করবেন তো রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি একবার অপারগতা প্রকাশ করেছেন বা এটার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন। কাজেই ফের যদি এটা করতেই হয় তাহলে সেটি সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির কাছেই পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো উচিত। সেটিই করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ৭ নম্বর নির্দেশনায় জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জন্য পৃথক শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে আপিল বিভাগ সরকারকে নির্দেশ দেয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর