thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

শাস্তি বাড়িয়ে সামুদ্রিক মৎস্য আইন অনুমোদন

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৫:৩৯:১১
শাস্তি বাড়িয়ে সামুদ্রিক মৎস্য আইন অনুমোদন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মেরিন কালচার জোন প্রতিষ্ঠা ও শাস্তি বাড়িয়ে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ের সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অভিনন্দন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ১৯৮৩ সালের দ্য ম্যারিন ফিসারিজ অর্ডিন্যান্স ছিল। এটি এরশাদ সরকারের আমলে জারি করা হয়। সামরিক শাসনামলে হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এটি বাংলায় প্রণয়ন করা হয়েছে নতুন আইন হিসেবে। এতে তিনটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শাস্তি একটু বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া তেমন কোনো বড় পরিবর্তন আনা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে সরকার উপকূলীয় এলাকা বা নদী মোহনা সংলগ্ন উপযোগী এলাকাকে চিহ্নিত করে মেরিনকালচার অঞ্চল বা জোন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। অনুমোদিত পদ্ধতিতে মৎস্যসহ সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতি চাষে অনুমতি দিতে পারবে। আধুনিক এ ধারণাটি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা দেওয়ার শাস্তি ছিল ৩ বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। এখন জেল ৩ বছরই রাখা হয়েছে। তবে জরিমানা এক লাখ টাকার স্থলে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।’

‘ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌযান ইত্যাদির ক্ষতিসাধনের শাস্তি ছিল ৩ বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। সেখানেও নতুন আইনে জরিমানা ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।’

শফিউল আলম আরও বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা মালিক লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘণ করলে আগের নিয়মে ৩ বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। এক্ষেত্রেও জরিমানা ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আটক বা চিহ্নিতকরণ এড়ানোর জন্য প্রমাণাদি ধ্বংস করার শাস্তি ছিল ৩ বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। জেল তিন বছর ঠিক আছে, জরিমানা এক লাখের জায়গায় ৫ লাখ করা হয়েছে।’

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নৌযানের মালিক হয়ে বা বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় কোন মৎস্য আহরণে নৌযান পরিচালনা করে তা নির্ধারিত পন্থায় চিহ্নিত না করার শাস্তি ছিল ২৫ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি আরও বলেন, ‘নৌযানে আরোহণ করা ব্যক্তিদের সংগঠিত অপরাধের জন্য নৌযানের স্কিপার (অধিনায়ক বা ক্যাপ্টেন) দায়ী হবেন। এটার জন্য শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ জরিমানা ৫ হাজার টাকা, নতুন আইনে সর্বোচ্চ জরিমানা ৫০ হাজার টাকা।’

শফিউল আলম বলেন, ‘আগের আইন অনুযায়ী জরিমানার ১০ ভাগের এক ভাগ টাকা দিয়ে আপোষের জন্য বসতে পারতেন। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৫ ভাগ টাকা পরিশোধ করে আপোষ করতে পারবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এস/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর