thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

ইনস্টিটিউট হচ্ছে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৭:৩৪:১২
ইনস্টিটিউট হচ্ছে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রকে ইনস্টিটিউটে উন্নীত করা হচ্ছে। এজন্য ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ের সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে এটা ১৯৯৮ সাল থেকে এটা পরিচালিত হয়ে আসছে। এটাকে ইনস্টিটিউটে উন্নীত করতে এ আইনটি আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে একটি হাইপাওয়ার বডি থাকবে, যার নাম হল নির্বাহী পরিষদ বা নির্বাহী কাউন্সিল। এর প্রধান হবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব। ১৮ ক্যাটাগরির সদস্য আছেন কাউন্সিলে। মনোনীত সদস্যদের মেয়াদ হবে ৩ বছর। নির্বাহী কাউন্সিল বছরে কমপক্ষে দু’বার সভা করবে।’

ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা বা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা অন্য কোন উপাধি দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।

ইনস্টিটিউটের দৈনন্দিন কার্যক্রমের জন্য একটি একাডেমিক কাউন্সিল থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কাউন্সিলের প্রধান হবেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক। রেজিস্ট্রার হবেন এর সদস্য সচিব। এরমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আছেন।’

নতুন জাতীয় যুব নীতি অনুমোদন

শফিউল আলম বলেন, ‘জাতীয় যুবনীতি প্রথম ২০০৩ সালে প্রণীত হয়। এরপর ১৩ বছর পার হয়ে গেছে। ওইটাকেই নতুনভাবে নিয়ে আসা হয়েছে। আগের বিষয়গুলো ঠিক রেখে একটু আধুনিকায়ন করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৪ বছরের পরিবর্তনগুলো এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন নীতিতেও যুবদের বয়স আগের মতোই ১৮ থেকে ৩৫ বছরই নির্ধারণ করা হয়েছে।’

দ্বৈত করারোপণ রোধে ভুটান ও কাতারের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে

দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে ভুটান ও কাতারের চুক্তি হচ্ছে। এজন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপস্থাপন করা দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল) ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় আমার ভুটানের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ। বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে দু’দেশ মিলে একটি চুক্তিপত্র তৈরি করেছে। সেটাই মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।’

আরও দশটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘সেই (চুক্তির) বিষয়গুলো এখানেও নিয়ে আসা হয়েছে। করের ডুপ্লিকেশনটা যাতে না হয় সেজন্য চুক্তিটি হচ্ছে। কাতারের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির জন্য ১৯৯৭ সাল থেকে প্রক্রিয়া চলছে। সেটিও মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এস/এপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর