thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

মালয়েশিয়ায় বৈধ হওয়ার শেষ সুযোগ ই-ক্যাড : রাষ্ট্রদূত

২০১৭ মার্চ ০১ ১৮:১২:৩৬
মালয়েশিয়ায় বৈধ হওয়ার শেষ সুযোগ ই-ক্যাড : রাষ্ট্রদূত

শামছুজ্জামান নাঈম, মালয়েশিয়া : মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী কাগজপত্রহীন বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার শেষ সুযোগ এনফোর্সমেন্ট ক্যাড (ই-ক্যাড) বা টেম্পোরারি পাস বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহ. শহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সকালে পুত্রাজায়াস্থ মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক দাতু শ্রী হাজী মুস্তাফার আলীর সঙ্গে ই-ক্যাড বিষয়ে এক সভা শেষে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুরোধে মালয়েশিয়ান সরকার এই সুযোগটি দেন দেশটিতে বসবাসকারী কাগজপত্রহীন শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার জন্য।

তিনি জানান, বৈধ কাগজপত্র পেতে মাইইজি'র অধীনে চলমান রি-হায়ারিং প্রকল্পে ১ লাখ ৮৮ হাজার বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। আর অন্য সকল দেশ মিলিয়ে করেছে মাত্র ১০ হাজার। এছাড়া নতুন প্রকল্প ই-ক্যাড এখন পর্যন্ত ৬১ জন বাংলাদেশি পেয়েছেন। অন্যদিকে সকল দেশ মিলিয়ে পেয়েছে ৩৯টি।

‘যারা মেডিক্যাল আনফিট, যাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা চলমান রয়েছে এবং যে সকল কর্মী বৈধভাবে কোন কর্মক্ষেত্রে কর্মরত ছিলেন কিন্তু তারা মালিকপক্ষকে অবহিত না করে পালিয়ে গেছেন। অফিস তার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশনে অভিযোগ দাখিল করেছে’ এই তিন শ্রেণির শ্রমিকরা ই-ক্যাড করতে পারবে না।

আগে ৩ কিংবা ৪টি খাতে লোক আনার কথা থাকলেও এখন বাংলাদেশ থেকে সকল সেক্টরের জন্য লোক আনা হবে বলেও জানান দেশটিতে নিযুক্ত থাকা রাষ্ট্রদূত।

ই-ক্যাডের আওতায় আসতে বাংলাদেশিদের জোরালো আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা সকলকে সচেতন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় দূতাবাসের কন্সুলার টিম পাঠানো হচ্ছে। ই-ক্যাডধারীরা দ্রুত পাসপোর্ট করাতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগে স্বাভাবিকভাবে পাসপোর্ট আসলেও এখন থেকে আমরা ডিএইচএল'র মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত পাসপোর্ট নিয়ে আসবো। এবং তা দ্রুত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবো।

হাইকমিশনের বাইরে দালালের উৎপাত কমাতে করণীয় সম্পর্কে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সে-ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলছি হাইকমিশনের অভ্যন্তরে কিংবা আশপাশে একটি বুথ করার ব্যাপারে। আশা করি আগামী কয়েকমাসের মধ্যে এ সকল সমস্যার সমাধান হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর (লেবার) সায়েদুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) বেগম তাহমিনা ইয়াসমিন এবং দ্বিতীয় সচিব (লেবার) ফরিদ আহমেদ।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/মার্চ ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর