thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

মালিকের নোটিশে শঙ্কিত দৈনিক বর্তমানের কর্মীরা

২০১৭ মার্চ ০৯ ০০:১৪:৫১
মালিকের নোটিশে শঙ্কিত দৈনিক বর্তমানের কর্মীরা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আবারো বন্ধ হতে যাচ্ছে দৈনিক বর্তমান। পত্রিকাটির সম্পাদক-প্রকাশক আলহাজ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে (কর্মীদের উদ্দেশে) তেমন ইঙ্গিতের পর ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন জাতীয় দৈনিকটিতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। অন্য গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

নোটিশে সম্পাদক-প্রকাশের বক্তব্য অনুযায়ী, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ৬ মাস (চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত) সময় পাচ্ছেন দৈনিক বর্তমানের কর্মীরা। আর্থিক লোকসানের মুখে পড়লে উল্লিখিত সময়ের পর পত্রিকাটি বন্ধ হবার আশঙ্কা রয়েছে।

আলহাজ্ব মিজানুর রহমান বুধবার প্রেরিত নোটিশে উল্লেখ করেছেন— দৈনিক বর্তমান পরিচালনার জন্য নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে রফিকুল ইসলাম রতন ৬ মাস (ডিসেম্বর ২০১৬-মে ২০১৭) সময় নিয়েছেন। এই ৬ মাস দৈনিক বর্তমান পরিচালনার জন্য সম্পাদক-প্রকাশক হিসেবে পত্রিকাটির ব্যয় আমি বহন করব। কিন্তু ৬ মাস পর নিজস্ব আয়ে পত্রিকাটি পরিচালনায় নির্বাহী সম্পাদক অপারগ হলে মালিক কর্তৃপক্ষ কোনো দায়দায়িত্ব বহন করবে না। এ অবস্থায় যদি কেউ স্ব-উদ্যোগে দৈনিক বর্তমান থেকে অন্যত্র চলে যেতে চান, তিনি চলে যেতে পারেন। কারণ, পত্রিকাটি যদি ৬ মাস পর (মে ২০১৭) বন্ধ হয়ে যায় এর দায়দায়িত্ব সম্পাদক-প্রকাশক হিসেবে আমি বহন করতে পারব না। এ জন্য অত্র নোটিশ সবার অবগতির জন্য তিন মাস আগেই দেওয়া হলো। কারণ, পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলে কোনো সাংবাদিক-কর্মচারীর ৩ মাসের কোনো পাওনা (টাকা) কর্তৃপক্ষ দিতে পারবে না। উল্লেখ্য, এই নোটিশ পড়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ নাম পদবি উল্লেখ পূর্বক নোটিশে স্বাক্ষর করে জানুয়ারি ২০১৭ মাসের বেতন গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী জুনায়েদ মোসিন অনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন— দৈনিক বর্তমান কয়দিন পর পর বন্ধ করে। এভাবে একটি পত্রিকা চলতে পারে না। এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই। হঠাৎ করে এটা বন্ধ করলে কতগুলো সাংবাদিক পরিবার অসহায় হবে। তা কি মালিকরা চিন্তা করছে। সুষ্ঠু সমাধান চাই।

দৈনিক বর্তমানের নির্বাহী সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন এ প্রসঙ্গে দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘এ ব্যাপারটি পেশাগত বিষয়। এখানে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ তা পেশাগত দিক দিয়ে আমার জন্য ইতিবাচক নয়। তবে চাকরি নেওয়ার সময় তো অনেক কথাই হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো চুক্তি তাদের সঙ্গে আমি করিনি।’

অনেক নাটকীয়তার মধ্যে বাজারে আসা পত্রিকাটি এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরেও একবার বন্ধ হয়েছিল। হঠাৎ করে বন্ধ হওয়ায় সেখানে কর্মরতরা বেকার হয়ে পড়েন। পরে মাসব্যাপী আন্দোলনের পরও আইন অনুযায়ী ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে কিছু সাংবাদিক নেতার হস্তক্ষেপে অল্প বকেয়া পরিশোধ করা হয়। এরপর কয়েক মাস আগে আবারও প্রকাশনায় আসে পত্রিকাটি। এখন আবার বন্ধ ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন সেখানে কর্মরতরা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জেডটি/এনআই/মার্চ ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর