thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

উদ্বোধনের আগেই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে ধস

২০১৭ মার্চ ১৪ ১৮:২৬:৫৬
উদ্বোধনের আগেই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে ধস

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : নির্মাণের দুই মাসের মধ্যে উদ্বোধনের আগেই সামান্য বৃষ্টিতে কাঁঠালিয়া-আমুয়া-পাথরঘাটা মহাসড়কের হলতা নদীর উপর নবনির্মিত আমুয়া সেতুর দুই পাড়ের অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার ধসে গেছে। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে দায়সারাভাবে এ সড়ক নির্মাণ করার কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে এলাকাবাসী ও আমুয়া বন্দরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিকেই দায়ী করছে সড়ক বিভাগ।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম খান গ্রুপ। ২১৭.৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সেতুর দু’পাড়ের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয় ঠিকাদার। এই সুযোগে বাড়তি ব্যয় দেখিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দু’মাস আগে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু গত তিন দিনের বৃষ্টিতে সেতুর উত্তর পাড় আমুয়া বন্দর এলাকার আধা কিলোমিটার এবং ছোনাউটা পাড়ের এক কিলোমিটার বাইপাস সংযোগ সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে।

আমুয়া বন্দরের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করার কারণে সংযোগ সড়কের ধস দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আমাদের এলাকায় সড়ক ধসে যাওয়ার মত ভারি বর্ষণ হয়নি, যা হয়েছে তাকে হাল্কা বৃষ্টি বলা যায়।

এ অভিযোগ সম্পর্কে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযোগ যুক্তিসংগত নয়। শত ভাল কাজ করলেও তার প্রশংসা খুব একটা আশা করা যায় না। এ ধরনের জেনারেল অভিযোগ থাকবেই, তবে আমরা দায়িত্বশীল। ভাল কাজ করার চেষ্টা করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও কাজ বুঝে নেইনি। সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক সবেমাত্র করা হয়েছে। যত সময় যাবে মাটি শক্ত হবে। অতি বর্ষণে সড়কের দু’পাশের মাটি নরম হয়ে অনেকাংশে ধসে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মানসম্মতভাবে সড়ক নির্মাণ করতে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিলেই কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/মার্চ ১৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর