thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

নয় দিন ধরে কুবির ভিসি দপ্তরে তালা

২০১৭ মার্চ ১৬ ১৯:৪২:১৪
নয় দিন ধরে কুবির ভিসি দপ্তরে তালা

কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির টানা আন্দোলনের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উপাচার্য অপসারণের আন্দোলনে গত ৮ মার্চ থেকে উপাচার্যকে তার নিজ কার্যালয়ে অফিস করতে দিচ্ছেন না শিক্ষক সমিতি। তারা ঐ দিন থেকেই কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে উপাচার্য তার নিজের বাসভবনে অফিস করছেন। গত ৯ দিন ধরে তিনি তার বাসাতেই অফিসের কার্যক্রম পালন করছেন।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলী আশরাফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যার ইন্ধন দাতা এবং শিক্ষকের বাসা ও ডরমেটরিতে চুরি ও হামলার পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতা বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যায় শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগের দাবিও জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, ছাত্র হত্যা, শিক্ষক ও তাদের পরিবারের উপর পরিকল্পিত হামলা এবং বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্চনাসহ এ সকল অপরাধকারীদের কোন বিচার হচ্ছে না। এ যেন চলছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। আর এই সংস্কৃতি চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আরও পিছিয়ে যাবে।

এদিকে অনিয়মতান্ত্রিক ও অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আত্মীয়করণ করছেন উপাচার্য এমন দাবি শিক্ষক সমিতির। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্লানিং কমিটিসমূহের পরিপূর্ণ সিদ্ধান্ত সুপারিশ ব্যতিরেকে ইতোপূর্বে প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও অনিয়মতান্ত্রিক সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তারা।

উপাচার্য কিভাবে হামলার পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতা? এমন প্রশ্নের জবাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘উপাচার্য যেহেতু শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না এবং অপরাধীদের কোন বিচার করছেন না। তাই পরোক্ষভাবে হামলার পরিকল্পনা এবং মদদদাতার জন্য তিনিই দায়ী।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, ‘শিক্ষকদের নিরাপত্তা এবং অপরাধীদের বিচারে শাস্তির ব্যবস্থা করার উদাসীনতা উপাচার্যের প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয়। আমরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি গোষ্ঠি আমাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছে। সবাইতো চায়নি। প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায়ভার শুধু আমাকে নিতে হবে কেন? যারা এখন আন্দোলন করছেন তারাও ঐ সময় দায়িত্বে ছিলেন। ফলে তাদেরকেও নিতে হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মার্চ ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর