thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

জামানতি ঋণের বিপরীতে চেক গ্রহণের বিরুদ্ধে রুল

২০১৭ মার্চ ২০ ২০:১৬:২৩
জামানতি ঋণের বিপরীতে চেক গ্রহণের বিরুদ্ধে রুল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জামানত রাখার পরেও ঋণের বিপরীতে ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে চেক নেওয়া কেন অবৈধ ও এখতিয়ার বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, যমুনা ব্যাংকের এমডি, কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট আদালত ও যমুনা ব্যাংকের লাকসাম শাখাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মিজানুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও রোকন উদ্দিন মো. ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলে রাব্বি খান।

আদেশের পর আইনজীবী মিজানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লার ব্যবসায়ী আবু মো. ই্‌উসুফ ২০১২ সালে যমুনা ব্যাংকের লাকসাম শাখা থেকে স্থাবর সম্পত্তি জামানত এবং সিকিউরিটি চেক জমা রেখে এক কোটি ২৫ লাখ ঋণ নেন। পরবর্তীতে তিনি ঋণ খেলাপি হওয়ার পরে ২০১৫ সালে যমুনা ব্যাংক তার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা হিসেবে পরিচিত এনআই অ্যাক্টে মামলা করেন। যে মামলায় কুমিল্লার বিচারিক আদালত গত বছরের ২৬ জুন ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মিজানুল হক আরও জানান, অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৫(১) মতে, ‘অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৫) ও (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায় সম্পর্কিত যাবতীয় মামলা ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত, ঘোষিত বা গণ্য হওয়া অর্থ ঋণ আদালতে দায়ের করিতে হইবে এবং উক্ত আদালতেই উহাদের নিষ্পত্তি হইবে।’

কিন্তু তারা অর্থ ঋণ আদালতে মামলা না করে এনআই অ্যাক্টে মামলা করেন। এছাড়া স্থাবর সম্পত্তি জামানত থাকা সত্ত্বেও সিকিউরিটি চেক নিয়ে করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয় বলে জানান মিজানুল হক।

এই আইনজীবী আদালতের আদেশের বিষয়ে বলেন, রুলে তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক জামানতি ঋণের বিপরীতে পোস্ট ডেইটেড (নির্ধারিত তারিখের পূর্বে উত্তোলনযোগ্য নয়) ও আনডেইটেড (তারিখবিহীন) চেক সিকিউরিটি হিসেবে নেওয়া কেন অবৈধ ও এখতিয়ার বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে আবু মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে চলমান মামলার কার্যক্রম কেন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন।’

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/মার্চ ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর