thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, জেল কোড অনুসারেই ব্যবস্থা

২০১৭ মার্চ ২২ ১৩:৪৩:০৯
মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, জেল কোড অনুসারেই ব্যবস্থা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকরে জেল কোড অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনজনের মধ্যে কার কোন কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার (২২ মার্চ) সকালে এ সব কথা বলেন তিনি।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুলকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং দেলোয়ার হোসেন রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ফাঁসি কার্যকরে নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু নেই, আমরা সব সময়ই প্রস্তুত। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আমাদের কাছে নির্দেশনা আসলে জেল কোড অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত এবং আনোয়ার চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

এ মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন। পরে গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন।

আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামীরা রিভিউ করেন। ১৯ মার্চ দেওয়া রিভিউ খারিজের রায় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) প্রকাশিত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর