পাহাড়ে সাইকেল প্রতিযোগিতা ২৪-২৬ মার্চ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পর্যটন শিল্পের বিকাশে আগামী ২৪ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত পাহাড়ে সাইকেল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ‘ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা’ নামে এ প্রতিযোগিতাটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সাজেক ভ্যালি থেকে শুরু হয়ে ২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বান্দরবানের নীলগিরিতে গিয়ে শেষ হবে।

প্রতিযোগিতা নিয়ে সচিবালয়ে বুধবার (২২ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘মাউন্টেন বাইকিংটা আমাদের এখানে এখনও জনপ্রিয় হয়নি। পর্যটন স্পট হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আরও পরিচিত করার জন্য এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনের কারণে পর্যটকরা আরও আকৃষ্ট হবেন।’

সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের বাইক প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এবার আমরা সফল হলে প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘৪২ জন প্রতিযোগী এ বাইক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।‘প্রতিযোগীদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।’

পার্বত্য সচিব বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় প্রথন স্থান অধিকারীকে ৮০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ৬০ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ৪০ হাজার টাকা সমপরিমাণ অংকের এমটিভি হিমালয় স্পন্সরশিপ দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে তারা ভারতে এ জাতীয় আর একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।’

প্রতিযোগী ও কর্মকর্তারা ২৩ মার্চ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সাজেক ডিজিটাল প্রাইমারি স্কুলে অবস্থান করবেন জানিয়ে কিশোর ত্রিপুরা বলেন, ‘২৪ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় নির্ধারিত স্থান থেকে বাইক প্রতিযোগিতা শুরু হবে। খাগড়াছাড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজুরী চৌধুরী প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিযোগীরা প্রথম দিন ৬৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন। এরমধ্যে থাকবে মাচালং বাজার, বাঘাইহাট, দিঘিনালা বাজার। প্রতিযোগীরা খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছালে প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন ফলাফল ঘোষণা ও পরবর্তী দিনের প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া হবে। রাতে তারা খাগড়াছড়ি শহরে উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজে অবস্থান করবেন।

প্রতিযোগীরা ২৫ মার্চ খাগড়াছড়ি শহর থেকে যাত্রা শুরু করে রাঙ্গামাটি শহরে গিয়ে পৌঁছাবে। দ্বিতীয় দিন প্রতিযোগীদের ৭১ দশমিক ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। এ পথে পড়বে খাগড়াছড়ি চেঙ্গিব্রিজ, মাইশছড়ি বাজার, মহালছড়ি/কেঙ্গালছড়ি, বেতছড়ি বগাছড়ি, ঘিলাছড়ি/কুতুকছড়ি ও মানিকছড়ি। সেখানেও প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন ফলাফল ঘোষণা ও পরবর্তী দিনের প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।

২৬ মার্চ সকাল ৭টায় রাঙ্গামাটি শহর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বান্দরবান শহর হয়ে নীলগিরিতে পৌঁছানোর পর এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে। শেষ দিনে সাইক্লিস্টদের ১০৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এ দিন প্রতিযোগিদের আসাম বস্তি ব্রিজ, কাপ্তাই, বড়ইছড়ি, লিচুবাগান, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট, কারিগরপাড়া বাজার, বাঙ্গালহালিয়া, দশমাইল নতুন বাজার, উলুপাড়া, বালাঘাটা, স্বর্ণমন্দির, সাগুব্রিজ। বান্দরবানে প্রাতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

প্রতিযোগীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে পথে পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম থাকবে বলেও জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সচিব।

সচিব ত্রিপুরা বলেন, ‘বান্দরবান স্টেডিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমকে/মার্চ ২২, ২০১৭)