thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

দুই বিচারককে সতর্ক করল হাইকোর্ট

‘চার্জশিটের আগে সাইবার ট্রাইব্যুনালে শুনানি নয়’

২০১৭ মার্চ ২৩ ২০:৪৭:২৫
‘চার্জশিটের আগে সাইবার ট্রাইব্যুনালে শুনানি নয়’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তথ্য-প্রযুক্তি আইনের যেকোন মামলায় পুলিশ রিপোর্ট (চার্জশিট) দেওয়ার আগে সাইবার ট্রাইব্যনাল কোন মামলার শুনানি গ্রহণ করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি আইনের এক মামলায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগে এখতিয়ার না থাকার পরও আসামির জামিনের আবেদনের শুনানি গ্রহণ করায় ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও একইভাবে এখতিয়ার থাকার পরও জামিন শুনানির জন্য গ্রহণ না করায় মাগুরার জেলা ও দায়রা জজকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এই আদেশের কপি দেশের সকল দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলার আসামি আহমেদ সবুজকে জামিনও দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জোবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জমান কবির।

গত ১৩ মার্চ এই দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। ২২ মার্চের মধ্যে তাদেরকে লিখিতভাবে হাইকোর্টে এই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী বুধবার হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মোহাম্মপুর থানার আহমেদ সবুজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে তিনি জামিনের জন্য মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যান।

তবে দায়রা জজ আদালত একই বছরের ১৭ নভেম্বর এই মামলা শুনানিতে অস্কীকৃতি জানান। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করেন সবুজ। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আহমেদ সবুজ। আইন অনুযায়ী যেকোন মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর তা আমলে না নেওয়া পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেই মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন না পেয়ে মাগুরার দায়রা আদালতে গেলে তিনি জামিন শুনানিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। পরে তিনি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে গেলে ট্রাইব্যুনাল তার জামিন নামঞ্জুর করে।

জামিন শুনানিকালে বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ার পরও মাগুরার দায়রা জজের জামিন শুনানি না করা ও এখতিয়ার না থাকার পরও সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের জামিন শুনানি করার বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেন। সেই ব্যাখ্যা দাখিলের পর আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/মার্চ ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর