thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

৬ ধরনের পোশাক পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ

২০১৭ মার্চ ২৪ ১৬:১০:০০
৬ ধরনের পোশাক পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : পোশাক মানুষের সভ্যতার প্রথম নিদর্শন।পৃথিবীতে এসেই সর্বপ্রথম মানুষ তার লজ্জা নিবারণের ভূষণ সন্ধান করেছে। গাছের বাকল, পাতা থেকে শুরু করে দিন দিন পোশাকের রকম-ধরনে নানা পরিবর্তন এসেছে। ঐশী প্রত্যাদেশের মাধ্যমে নবী-রাসূলগণ মানুষকে তার বেশ-ভূষার নিয়ম-কানুন বাতলে দিয়েছেন। ইসলামে পোশাক পরা মানুষের জন্যে ততটুকু ফরজ, যতটুকুতে তার সতর ঢেকে যায়।

পুরুষের সতর হলো, নাভির উপর থেকে নিয়ে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। তবে সুন্নাত হলো, এমন পোশাক পরিধান করা, যাতে তার সমস্ত দেহ আবৃত হয়ে যায়। মাথায় টুপি পরাও পোশাকের একটি অংশ বিশেষ এবং এটাও ইসলামে সুন্নাত আখ্যায়িত।

পুরুষের জন্য যে ৬ ধরনের পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ সেগুলো হলো-

১. পুরুষের পোশাক রেশমের তৈরি হতে পারবে না। রেশমি পোশাক পরা পুরুষের জন্যে হারাম।

২. নাভির উপর থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত কোনো অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়, এমন পোশাক পরা নিষিদ্ধ।

৩. পুরুষের পোশাক যেনো নারীদের মতো না হয়।

৪. পোশাক যেন এমন না হয়, যা পরলে তার মধ্য থেকে অহঙ্কার প্রকাশ পায়।

৫. পুরুষের পোশাক পায়ের গোড়ালির নিচে যেন ঝুলে না যায়। টাখনুর নিচে নেমে যায় এত লম্বা পোশাক পরা হারাম।

৬. ইচ্ছাকৃতভাবে কাফের-মুশরিকদের সাদৃশ্য অবলম্বন করার উদ্দেশ্যে তাদের পোশাক পরিধান করা হারাম। [হাশিয়ায়ে শামায়েলে তিরমিজি-২৯]

ইসলামে পর্দা মেনে চলা ফরজ। তা শুধামাত্র মহিলাদের জন্যই নয়, বরং পুরুষের জন্যও পর্দা ফরজ। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পর্দা সম্পর্কে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে নবী! আপনি) মুমিনদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র।

বিশেষ করে আল্লাহ তাআলা নারীদের নিরাপত্তায় পর্দার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে নারীগণ, তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে অবস্থান কর। পূর্ববর্তী অন্ধকার যুগের মতো সাজসজ্জা করে পরপুরুষের সম্মুখে বাহির হবে না। নামাজ আদায় কর, জাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর।’ (সূরা আহযাব : আয়াত ৩৩)

পর্দা পালনকারী নারীরা আল্লাহর রহমত দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নারী গোপনীয় সত্তা, তারা যদি প্রকাশ্যে (বেপর্দা হয়ে লোকালয়ে) বের হয় তবে শয়তান তাদের দিকে উঁকি দিয়ে তাকায়। আর যে নারী তার ঘরের মধ্যে অবস্থান করে (পর্দা পালন করে) সে আল্লাহর রহমতের অধিক নিকটবর্তী থাকে।’(তিরমিজি)

কুরআন ও হাদিসের আলোকে যাদের সঙ্গে পর্দা করা ফরজ তাদের সামনে বেপর্দা হয়ে খোলামেলা পোশাকে যাতায়াত করা বা অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ করা হারাম এবং কবিরা গোনাহ।মুসলিম উম্মাহর উচিত অশালীন পোশাক পরিহার করে, শালীন পোশাক পরিধান করা। প্রত্যেককেই নিজের আত্ম-সম্মানবোধ এবং সৌন্দর্যের হিফাজত করতে হবে।কোনো মুসলিম নারী লাল বা কোনো উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে পারবে না যাতে পুরুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।স্যাটেলাইট টিভির কল্যাণে ইসলামী পোশাক তো দূরের কথা সভ্য মানুষের পোশাক থেকে আমরা দূরে চলে যাচ্ছি।

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/এনআই/মার্চ ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর