thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

মুন্সীগঞ্জে আলুচাষীদের মুখে হাসি

২০১৭ মার্চ ২৪ ১৮:৫২:২৭
মুন্সীগঞ্জে আলুচাষীদের মুখে হাসি

সুমন্ত চক্রবর্তী, দ্য রিপোর্ট : দেশজুড়ে এবার আলুর ফলন বেশ ভালো। আলুচাষীরাও তাই খুশি। মুন্সিগঞ্জের আলুচাষীদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না। আলুর বাম্পার ফলনে সেখানকার চাষীদের মুখে জায়গা করে নিয়েছে প্রশান্তির হাসি।

সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের মজিদপুর এলাকার আলু ক্ষেতগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলেছে তেমন চিত্র। ক্ষেত ভরা আলু। উৎসাহভরে সেই আলু তুলছেন চাষীরা। বস্তায় ভরে সেগুলো নেওয়া হচ্ছে স্থানীয় স্টোরজে। ব্যাপারি আলু কিনছেন। আবার বস্তায় বস্তায় আলু রাজধানী ঢাকায় পাঠানোর উদ্যোগও চলছে।


কথা হয় সেখানকার আলুচাষী মো. শাজাহান খানের সঙ্গে। তিনি জানালেন, সাতজন কর্মীকে নিয়ে ৪৯ শতক জায়গায় অঘ্রায়ণ মাসের মাঝামাঝিতে ভুটানিজ আলু বা ডায়মন্ড আলুর বিজ বপণ করেন তিনি। সাধারণত বীজ বপণের সাড়ে তিন মাস পর ক্ষেত থেকে আলু তোলা হয়। তবে এবার চৈত্র মাসের (চলতি বছর মার্চ মাসে) মাঝামাঝিতে আবাহাওয়া বৃষ্টিপ্রবণ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ক্ষেত থেকে আলু তুলে ফেলতে হয়েছে। তবে এতে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি তাদের। আলুর বাম্পার ফলনই হয়েছে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, ক্ষেত থেকে আলু তোলার পর সাধারণত তারা স্টোরেজে নিয়ে যান। সেখান থেকেই ব্যাপারিরা আলু কিনে নেন। তবে অনেক সময় সরাসরি ক্ষেত থেকেও আলু কিনে নেন তারা। আলুচাষীরা এবার মণ প্রতি ৮০০-৯০০ টাকা দরে আলু বিক্রি করছেন। সাধারণত ২ মণ ৫ সেরে একটি বস্তা পরিপূর্ণভাবে ভর্তি হয়। তবে বিক্রি করার সময় ওই বস্তাটিকে ২ মণ হিসেবে ধরা হয়। এমনটা করার যুক্তি হলো-আলু ভেজা থাকায় ওজন একটু বেশি হয়। তাই বিক্রির সময় সেখান থেকে ৫ সের আলুর হিসেব বাদ দিয়ে ধরা হয়। প্রতি বস্তা আলুতে চাষীদের ২০০-৪০০ টাকা লাভ হয়। তাই এবার মুন্সীগঞ্জে আলুর ভালো ফলন হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।

মো. শাজাহান খানের দেওয়া তথ্যানুসারে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মুন্সীগঞ্জের আলুর শেষ ঠিকানা হয় রাজধানী ঢাকার বাজারগুলো। ক্ষেত থেকে আলু তোলার পর চৈত্র মাসের বাকি সময়টুকু আলুচাষীদের বেকার সময় কাটে।

ছবি : সুমন্ত চক্রবর্তী

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/মার্চ ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর