'আঁধার কাটুক হাজার আলোয়'

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : 'আঁধার কাটুক হাজার আলোয়' স্লোগানে জাতীয় গণহত্যা দিবসে দ্বিতীয়বারের মতো ২৫ মার্চ রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করলো আরটিভি। সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে দেশীয় সঙ্গীতের দলীয় পরিবেশনা ও কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুর হয় এ অনুষ্ঠান।

এরপর দলীয় নৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান গান করেন, ফেরদৌস আরা, শফি মন্ডল, অনিমা রায়, মৌটুসী পার্থ, দিঠি আনোয়ার, সম্্রাট, বিজন মিস্ত্রী, আনুশাহ প্রমূখ। দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকাটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী মোজাম্মেল হক, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, সংসদ সদস্য বেগম নূরজাহান মুক্তা, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান’সহ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জ্বললো হাজারো প্রদীপ শিখা।

এর আগে অতিথিরা গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন বীভৎসতা ইতিহাসে নেই। বাঙালি হয়েও যারা তাদের সাহায্য করেছে তাদের প্রতি ঘৃণা জানাচ্ছি। এ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের স্থান নেই। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এ দেশের মানুষের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা। যতদিন বাঙালি জাতি বাঁচবে, ততদিন লাল সবুজ পতাকা উড়বে। এ দেশের ভবিষ্যৎ কান্ডারি তরুণরাই। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদের মহান এক সিদ্ধান্ত পাস করিয়েছেন। তার আহ্বানে জনগণ গণহত্যা দিবস পালন করছে দেশ জুড়ে। কূটনীতিকদের মাধ্যমে দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি আশাবাদী, গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আরটিভিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২৫ মার্চ প্রতিবছর পালন হয় কিন্তু এবার বিশেষভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ৯ মাস ধরে তারা নির্মম তান্ডব চালায়। এটা খুবই দু:খজনক যে, গণহত্যা দিবস নিয়ে একটি দল এখনো নিশ্চুপ রয়েছে। তারা প্রতিদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে নানান কথা বলে কিন্তু গণহত্যা দিবস নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। নির্মমতা নিয়ে কোনো কথা বলেনি।

কর্মসূচির পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। শিবলী জিয়ার প্রযোজনায় পুরো অনুষ্টান উপস্থাপনা করেন মাহিদুল ইসলাম ও শাকিলা মতিন মৃদুলা।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/মার্চ ২৬, ২০১৭)