thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

‘কাট আউট মেথডে জঙ্গিরা’

২০১৭ মার্চ ২৬ ২১:৫৭:২২
‘কাট আউট মেথডে জঙ্গিরা’

২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে জানায় এ সকল ঘটনার সঙ্গে জেএমবির নতুন পার্ট ‘নব্য জেএমবি’ জড়িত। এর পর একে একে বেশ কয়েকটি জঙ্গি আস্তানায় বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানগুলোর ফলে এখন কৌশল পাল্টেছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যরা এখন ‘কাট আউট মেথড’ বেছে নিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নব্য জেএমবি এখন নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং অর্থ, অস্ত্র-বিষ্ফোরক সংগ্রহের দিকে জোড় দিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়া নব্য জেএমবি বেছে নিয়েছে ‘কাট আউট মেথড’। বিভিন্ন অভিযানের অভিজ্ঞতা এবং অভিযানের পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা এমন নতুন কৌশলের তথ্যই জানিয়েছে। নব্য জেএমবি অঞ্চল ভিত্তিতে ছোট ছোট গ্রুপে সংগঠিত হয়ে আতংক ছড়ানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এই অপতৎপরতায় প্রতিটি অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদা জঙ্গি দল সংগঠিত করা আর ভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহের কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে নব্য জেএমবি।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের কাছে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার হয় অন্যতম শীর্ষ জঙ্গি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহিদ এবং রাজধানী থেকে ২ মার্চ রাতে গ্রেফতার হয় আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা মো. আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর। এছাড়াও র‌্যাবের অভিযানে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ১০ সদস্যকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরা ও কলাবাগান এলাকা থেকে, দুজন প্রকৌশলীসহ ৫ সদস্যকে ২০ মার্চ যাত্রাবাড়ী ও উত্তর বাড্ডা থেকে এবং ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্লবী থেকে ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা সকলেই সারোয়ার-তামিম গ্রুপ অর্থাৎ নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ (শনিবার) সকাল থেকে সিলেটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা অভিযান পরিচালনা করছেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর একটি কমান্ডো ব্যাটালিয়ান। পাঁচতলা ভবনটিতে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের এ অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পুলিশ ও সোয়াট টিমের সদস্যরা সহায়তা করছে। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন অভিযানটি তদারকি করছেন। অভিযান চলাকালে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান।

অভিযানের প্রথম দিনে ওই বাড়িতে আটকে পড়া পরিবারের সদস্যদের শান্তিপূর্ণভাবেই উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। আতিয়া মহল-২ নামে একই মালিকের চারতলা বাড়ির সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের মই লাগিয়ে নারী-শিশুসহ আতিয়া ভবন থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা এবং ২১ জন শিশু রয়েছে। তবে এই অভিযান চলমান থাকা অবস্থায়ই শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ঘটনাস্থলের অদূরে দু’দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ পরিদর্শকসহ নিহত হন ছয়জন। র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধানসহ গুরুতর আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এ অবস্থায়ই শনিবার রাত ও রবিবার সারাদিন পার হয়। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংবাদকর্মীসহ সাধারণ জনতাকে ঘটনাস্থলের অনেক দূরে রাখা হয়েছে।

পরে রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে অভিযানের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে ঘটনাস্থলের অদূরে পাঠানবাড়ি মসজিদের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, রবিবার অভিযান চলাকালে সেনাসদস্যদের গুলিতে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত। এদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর নিজের শরীরে থাকা সুইসাইডাল ভেস্টে বিস্ফোরণ ঘটায়। নিহত দুই জঙ্গিই পুরুষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভবনের ভিতরে এখনো একাধিক জঙ্গি অবস্থান করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই অভিযানে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হননি বলেও নিশ্চিত করেছেন এই সেনা কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, অভিযানে ‘ভালো ঝুঁকি’ রয়েছে। আমাদের কমান্ডোরা চেষ্টা করছেন। নিশ্চিত করে বলতে পারছি না যে অপারেশন কখন শেষ হবে। অপারেশন পরিচালনা বেশ ডিফিকাল্ট হচ্ছে। পুরো বিষয়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। তাদের (জঙ্গি) কাছে স্মল আর্মস আছে, এক্সপ্লোসিভ আছে, আইইডি আছে, তারা ওয়েল ইকুইপড। আমরা যে গ্রেনেড ছুঁড়েছি, তারা সেগুলো ধরে উল্টা আবার আমাদের দিকে নিক্ষেপ করেছে। টিয়ার শেল ছুঁড়লে যে আগুন জ্বালাতে হয়, তারা এ সব টেকনিক জানে।

শেষ পর্যন্ত অভিযানে কি ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে তাও বর্ণনা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল। তিনি বলেন, আজ (রবিবার) সকাল থেকে বিভিন্ন টেকটিক অ্যাপ্লাই করছিলাম, রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে হোল তৈরি করে সুবিধা হচ্ছিল না। পরে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করি। তাতে জঙ্গিরা কিছুটা অসুবিধায় পড়ে। তাদের ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। আর সেই ছুটাছুটির সময়ই গুলিতে ওই দুজন নিহত হয়।

আতিয়া মহলের ভবনটি হেলে পড়েছে এমন গুঞ্জন রয়েছে। তবে হেলে পড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ভবন হেলে পড়ার খবর ঠিক নয়। ফায়ারিংয়ে সমস্যা হওয়ায় আমরা একটি দেয়াল ফেলে দিয়েছি। কোনো টিনের চালও উড়ে যায়নি।

জঙ্গি আস্তানায় কোন গ্রুপ রয়েছে সে বিষয়টি পুলিশ বা র‌্যাব যারা এগুলো নিয়ে কাজ করে তারাই ভাল বলতে পারবেন বলে জানান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী শুধু মূল অভিযান পরিচালনা করছে। বাইরের ঘটনায় যারা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন তারাই ভাল বলতে পারবেন।

এর আগে গত ১৫ মার্চ বিকাল থেকে সীতাকুণ্ডের প্রেমতলায় ‘ছায়ানীড়’ নামে একটি বাড়িতে তিন জঙ্গিকে অবরুদ্ধ করে রাখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওইদিন বিকালে ঢাকা থেকে রওনা দেয় সোয়াট টিম। সোয়াট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তাদের নেতৃত্বে ১৬ মার্চ ভোর সোয়া ৬টা থেকে শুরু হয় ‘অ্যাসল্ট সিক্সটিন’ অভিযান। তাদের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেয় চট্টগ্রাম সোয়াট, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। অভিযান শুরু হলে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে আহত হন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার সদস্য। অভিযানে জঙ্গি আস্তানায় জিম্মি হয়ে পড়া ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়। সোয়া এক ঘণ্টার অভিযানে নিহত হয় নারীসহ নব্য জেএমবির চার সদস্য।

২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর দক্ষিণ খানের পূর্ব আশকোনায় ‘অপারেশন রিপল ২৪’ পরিচালনা করে পুলিশ। এ সময় জঙ্গি সুমনের স্ত্রী সারিকা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে পুলিশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে পরনের সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। অভিযান চলাকালে গুলিতে নিহত হয় লালবাগে নিহত তানভীর কাদেরীর কিশোর ছেলে আফিফ কাদেরী। অভিযান শুরুর আগে সকালে সন্তানসহ শীলা ও তৃষামনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

গত বছরের ৮ অক্টোবর গাজীপুরের পাতারটেকে একটি জঙ্গি আস্তানায় কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিটের নেতৃত্বে ‘অপারেশন শরতের তুফান’ অভিযান চালানো হয়। এতে আস্তানায় অবস্থানকারী সাত জঙ্গি নিহত হয়। সকাল ১০টার দিকে অভিযান শুরুর পর জঙ্গিরাও পাল্টা আক্রমণ করে। তবে সিটি ইউনিট, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে শেষ পর্যন্ত অভিযান সফল হয়।

একই দিন ৮ অক্টোবর গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ঢাকার বাইপাইল আশুলিয়ায় পৃথক পৃথক তিনটি জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের সফল অভিযান পরিচালনায় চার জঙ্গি নিহত হয় এবং অপর এক জঙ্গি আব্দুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। র‌্যাব জানায়, নিহত আব্দুর রহমানই নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড সারোয়ার জাহান ওরফে শাইখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ। তার বাসা থেকে জেএমবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পাওয়া যায়।

রাজধানীর লালবাগে বিজিবি সদরদফতরের ২নম্বর গেট সংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বর ভবনে গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অভিযান চালানোর সময় ভেতরে থাকা নারী জঙ্গিরা পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে ও মরিচের গুঁড়া ছুঁড়ে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে আত্মহত্যা করে পুরুষ জঙ্গি তানভীর কাদেরী ওরফে তেহজীব করিম ওরফে আবদুল করিম। পালানোর ও আত্মহত্যা করার সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন নারী জঙ্গিকে। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার নারীরা নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী, নিহত কাদেরীর স্ত্রী ও রাহুলের স্ত্রী।

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের ৩৩ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর ভবনে গত ৫ সেপ্টেম্বর অভিযানে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার সামরিক প্রশিক্ষক মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম নিহত হন। জাহিদুল নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

একই বছর ২৭ আগস্ট সকালে পুলিশের সোয়াট, সিটি ইউনিট ও পুলিশ সদরদফতরের এলআইসি শাখার যৌথ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’ পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড এবং নব্য জেএমবির সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়।

রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডের একটি ভবনে ২৬ জুলাই জঙ্গি আস্তানায় সোয়াট, র‌্যাব, ডিবি ও সিটির ঘণ্টাব্যাপী ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ অভিযানে নব্য জেএমবির নয় সদস্য মারা যায়। পুলিশ তিনতলা পৌঁছানোর পরই শুরু হয় জঙ্গি হামলা। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে এক জঙ্গি নিহত হয়। আটক করা হয় আরেকজনকে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় বিদেশী ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নব্য জেএমবির ৫ হামলাকারী নিহত হয়।

জঙ্গিদের নতুন কৌশল প্রসঙ্গে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রাদুর্ভাব একটু বেশি নিউ জেএমবির। এরা এখন কাজ করছে মূলত কাট আউট পদ্ধতিতে। মূলত ছোট ছোট সেল থাকে। একেকটা সেল একেক স্থানে কাজ করে। এটিই ‘কাট আউট মেথড’। এটিই ‘কাট আউট মেথড’। যেহেতু তারা একই গ্রুপের বা একই ক্ষুদ্র গ্রুপের, তাই তাদের কাছে যে অস্ত্র বা বিস্ফোরক পাওয়া গেছে সেগুলোও মূলত একই ধরণের।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/কেআই/জেডটি/মার্চ ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর