thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

সিইসি’র বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই : রিজভী

২০১৭ মার্চ ২৭ ১৩:৫৬:১৬
সিইসি’র বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই : রিজভী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের সাথে কুমিল্লার নির্বাচনী চিত্রের মিল নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৭ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, গত পরশু কুমিল্লায় সিইসি বলেছেন-কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে কুমিল্লা থেকেই দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চর্চা শুরু করতে চান তিনি। কিন্তু সিইসি’র বক্তব্যের সাথে কুমিল্লার নির্বাচনী চিত্রের মিল নেই।

আগামী ৩০ মার্চ ২০১৭ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে শাসকদলের সন্ত্রাসী তৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়াতে হুমকি-ধামকির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভোটাররা যাতে ভীতিহীনভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সিইসি’র বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল দেখতে চাই।

তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমি কুসিক নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি।

ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের পেছনে উদ্দেশ্য ভয়ঙ্কর

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সইয়ের পেছনে ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে আপাতত তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না, মন্ত্রীদের মুখে এমন কথা শোনা গেলেও ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৪টি প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকসহ ১৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও কয়েকটি চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে বলেও জানা গেছে। সমঝোতা স্মারকে প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা, এই শিল্পের বিকাশে যৌথ উদ্যোগ, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তি, গবেষণা ও সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে একে অন্যকে সহযোগিতার কথা বলা আছে। সত্যিকার অর্থে এসব সমঝোতা স্মারকের পেছনে ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। যা সরকার জনগণের সামনে প্রকাশ করছে না।

রিজভী বলেন, আমরা আগেও বলেছি-ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বা সমঝোতা স্মারক যাই স্বাক্ষর হোক না কেন, তা বাংলাদেশের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না। বরং তা হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম আঘাত। আমাদের দেশের নিরাপত্তা গুম করে দেওয়া হবে ভারতের কাছে।

তিনি বলেন, ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যু তিস্তা চুক্তি ও গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণকে অন্ধকারে রেখে সরকার গোপনে ভারতের সাথে অজস্র চুক্তি করেই যাচ্ছে। গত দু’দিন আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন-রাজ্যের স্বার্থহানি করে তিস্তা চুক্তি হবে না। তাহলে বাংলাদেশের স্বার্থহানি করে ভারতের স্বার্থে এতো চুক্তির তোড়জোড় কেন? দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিনিময়ে এমন কোন চুক্তিই জনগণ কখনো মেনে নেবে না।

রিজভী অভিযোগ করেন, জঙ্গিবাদ ইস্যুকে জনগণের কাছে অন্ধকারে রেখেছে সরকার। ফলে এ নিয়ে জনগণের মধ্যে সর্বদা আতঙ্ক বিরাজ করছে। আজ এক জায়গায় এক ঘটনা ঘটছে তো কাল আবার আরেক জায়গায় আরেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার সর্বদা জঙ্গিবাদ ইস্যুকে জিইয়ে রেখে নিজেরাই রাজনৈতিক মুনাফা তোলার চেষ্টা করছে। যখনই কোনো জঙ্গিবাদী ঘটনা ঘটে তখনই প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন- জঙ্গিবাদকে নির্মূল করা হবে। কিন্তু দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে-নির্মূল হওয়া তো দুরে থাক, বরং ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো যখন সামনে আসে তখন জঙ্গিবাদের মতো ভয়ঙ্কর ইস্যুগুলোকে বায়োস্কোপের মতো জনগণের সামনে নিয়ে আসা হয়। দেশ থেকে যদি সত্যিই জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হয়, তাহলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

রিজভী বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র উদ্যোগে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে। এতো লোক সমাগম দেখে ঈর্ষান্বিত বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মদদে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে গুলি ও লাঠিচার্জ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগর কামরাঙ্গীর চর থানা বিএনপি’র সভাপতি হাজী মুনির হোসেন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা দুদকের সামনের রাস্তায় জড়ো হলে যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীসহ পুলিশ বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে হাজী মুনিরসহ চারজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে।

তিনি বলেন, গতকাল নরসিংদীতে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ৪০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এস/এমকে/এনআই/মার্চ ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর