thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ 24, ১৩ চৈত্র ১৪৩০,  ১৮ রমজান 1445

শরীয়তপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ

২০১৭ মার্চ ২৭ ১৬:৪৪:০৪
শরীয়তপুরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ২ মাসের জন্য ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও কমপক্ষে ৫০টি হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। এতে কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে মৎস্য বিভাগ। পয়লা মার্চ থেকে শুরু করে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাসব্যাপী ইলিশসহ সবধরনের মাছ শিকার, বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। অথচ প্রকাশ্যে জেলেরা কারেন্টজাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে বাজারে বিক্রি করছে।

বিশেষ করে ভেদরগঞ্জ উপজেলার আলুর বাজার ফেরিঘাট, নুরু মাস্টারের ঘাট, স্টেশন বাজার, বকাউল বাজার, মনাই হালাদারের বাজারে এনে জেলেরা আড়তদারের কাছে মাছ বিক্রি করছে।

ঐ সব ঘাটের আড়তদাররা বিভিন্ন নসিমন, করিমন ও ছোট ট্রাকে করে মোল্যারহাট বাজার, ডামুড্যা বাজার, ধানকাঠি বাজার, মুন্সিরহাট বাজার, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর বাজার, ভেদরগঞ্জ বাজার, রামভদ্রপুর বাজার, কাঞ্চনপাড়া বাজার, সাজানপুর বাজার, আন্দারমানিক বাজার, লাউখোলা, আনন্দ বাজারসহ জেলার প্রায় ৫০টি হাটবাজারে এসব মাছ বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান মৎস্য ব্যবসায়ী শহিদুল।

পাইকারী ক্রেতারা গভীর রাতে যানবাহনে করে মাছ নিয়ে রওনা হয়। ভোরে বাজারে এসে আড়তদারের কাছে বিক্রি করে চলে যায়। আর এ সকল মাছ সকালে বাজার বসার পূর্বেই ছোট পাইকারদের মাধ্যমে গ্রাম অঞ্চলের হাটবাজারে চলে যায়।

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে মাছ বিক্রি করলেও শরীয়তপুরের মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসনের লোকজন দেখে না দেখার ভান করছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছে। যদি সরকারের নিষেধাজ্ঞা মান্য করে ২ মাস মাছ শিকার, বেচা-কেনা ও পরিবহন বন্ধ রাখে তাহলে মাছগুলো সব বড় হবে। এতে সারা দেশের মানুষ মাছের চাহিদা মিটাতে পারবে।

সুরেশ্বর এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুছ আলী মৃধা অভিযাগ করেন, সরকার ২ মাস মাছ ধরা, পরিবহন ও বেচাকেনা বন্ধ করলেও স্থানীয় আড়তদারদের সহায়তায় জেলেরা ইলিশ মাছসহ সবধরনের মাছ বাজারে বিক্রি করছে। প্রশাসনের লোকেরা জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মনাই হালদার বাজারের আড়তদার বাদশা হাওলাদার বলেন, ‘আমরা জেলেদের দাদন দিয়ে সারা বছর মাছ ক্রয় করছি। সরকার নদীতে সবধরনের মাছ ধরা বন্ধ করলে আমারা কীভাবে আমাদের টাকা পয়সা উঠাবো আর জেলেরাই বা কি করে বাচঁবে। এ কারণে মাছ ধরতে এবং বেচাকেনা করতে বাধ্য।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমরা কোস্টগার্ডের মাধ্যমে অভিযান শুরু করেছে। তবে আমাদের সীমিত লোকবল তাই যতদূর সম্ভব বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে কয়েকশ’ মন জাটকা আটক করে প্রায় ৩০ জনকে কারাদণ্ড ও বিপুল পরিমাণ জাল আটক করে বিনষ্ট করা হয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপি/মার্চ ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর