thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

প্রাণভিক্ষা চাইলেন মুফতি হান্নান

২০১৭ মার্চ ২৭ ১৮:৫৫:০৫
প্রাণভিক্ষা চাইলেন মুফতি হান্নান

গাজীপুর প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন জঙ্গি সংগঠন হরকতুল জিহাদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেতা মুফতি আবদুল হান্নান। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ডের রায় সর্বোচ্চ আদালত বহাল রাখেন। ফলে রাষ্ট্রপতি তাকে প্রাণভিক্ষা না করলে মুফতি হান্নানের ফাঁসি রায় কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না।

একই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে অপর জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের প্রাণভিক্ষার আবেদনও তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। অপর আসামী দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন বলেও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান ও বিপুলকে কাশিমপুর কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান। বিপুলের আবেদন তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মুফতি আব্দুল হান্নান লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন।

চলতি বছর ২২ মার্চ রিভিউ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয় মুফতি হান্নান ও বিপুলকে। কারা কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন বলে জানান। একইদিন সন্ধ্যায় তাদের দু’জনের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছালে সেটিও পড়ে শোনানো হয়।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুরু হয়, যা শেষ হয় ওই বছর ৩ ফেব্রুয়ারি। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

ওই বছর ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ করেন। শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ করে চূড়ান্ত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।

চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর আসামিরা আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন করেন। গত ১৯ মার্চ সেই রিভিউ আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। রিভিউ খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ২১ মার্চ প্রকাশিত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/জেডটি/মার্চ ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর