বিদায় অভিনেতা মিজু আহমেদ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলচ্চিত্রশিল্পীরা শেষ বিদায় জানালো জনপ্রিয় অভিনেতা মিজু আহমেদকে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেষবারের মতো প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে আনা হয়েছিল এই অভিনেতার মরদেহ।

বিএফডিসির পেশ ইমাম তার জানাজা পড়ান।জানাজার আগে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, অমিত হাসান, ওমর সানী, আমিন খান, মিশা সওদাগর, সাইমন, জায়েদ খান, পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম, অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড প্রমুখ।

জানাজা শেষে মিজু আহমেদের মরদেহ এখন জন্মস্থান কুষ্টিয়ার পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।মিজু আহমেদের ছোট ছেলে আশরাফুল আহমেদ জানান, জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে কুষ্টিয়ায় দাফন করা হবে।

জনপ্রিয় অভিনেতা মিজু আহমেদ সোমবার রাতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ‘মানুষ কেন অমানুষ’ নামের একটি ছবির শুটিং করতে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন তিনি।

মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সাথে অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিজু আহমেদ। পরবর্তী কয়েক বছরে ঢালিউডে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এ ছাড়াও নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজের ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

তার অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা (২০০৬) ইত্যাদি।

‘ত্রাস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা খল অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মিজু আহমেদ।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/মার্চ ২৮, ২০১৭)