thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৪ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে : সংস্কৃতিমন্ত্রী

২০১৭ মার্চ ২৮ ১৮:২৬:৩৫
শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে : সংস্কৃতিমন্ত্রী

নাজমুল হাসান : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ‍বলেছেন, শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুই দিন ব্যাপী‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসব ২০১৭’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তথা জগন্নাথ কলেজের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মাঝে শূন্যতা থাকলেও তা আবার নতুন উদ্যামে উজ্জীবিত হচ্ছে। দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।

তিনি আরও বলেন, “অন্ধকার মনে, অন্ধকারের শক্তি কাজ করে। দানবের সমাজ নয়, মানবের দেশ গড়তে হলে মনের আলো জ্বালাতে হবে। আর সেটার জন্য সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই। মানবিক, মুক্তমনা, সহনশীল সমাজ গড়তে হলে সংস্কৃতি চর্চা জরুরি। সংগীত ও শিল্পকে অনুভব করার শক্তি, সংস্কৃতিকে মনে ধারণ করা শক্তিই হচ্ছে আলোকিত সমাজ গড়ার মূল মন্ত্র।”

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “আগে ঢাকা বলতে বর্তমান পুরানো ঢাকাকেই বুঝানো হতো। পুরানো ঢাকা কেন্দ্র করেই প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। বিভিন্ন কারণে পুরানো ঢাকা সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পুরানো ঢাকার সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে।অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন ও অংশগ্রহণ করছে- যা গর্ব করার মত। সংগীত বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উৎসব আয়োজন করেছে যা আমাদের জন্য বিরাট প্রাপ্তি।’

সংগীত উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও জবি সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায়-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, সংগীত উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান।

‘সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সংগীত অনুষ্ঠানে ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে’ গানটি সম্মিলিতভাবে গাওয়ার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্বলন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও উত্তরীয় পরানো হয় এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এদিকে, প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পীশাহীন সামাদ, রবন্দ্রীসংগীত শিল্পী শামা রহমান, কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও লোকসংগীতশিল্পী সফি মন্ডল। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ১১ জন শিল্পী এবং চীন হতে আগত ৫ জন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।

এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল সমবেত গান, নজরুল গীতি, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, চাকমা ভাষায় আঞ্চলিক গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ৮ জন শিক্ষার্থী বিশেষ নৃত্য পরিবেশনা করে।

(দ্য রিপোর্ট/এনএইচ/এপি/এনআই/মার্চ ২৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর