thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল 24, ৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ১১ শাওয়াল 1445

বিসিসির কর্মীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে নগরবাসী

২০১৭ মার্চ ২৯ ১৪:০৫:৩১
বিসিসির কর্মীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে নগরবাসী

বরিশাল প্রতিনিধি : টানা তিন দিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলো ময়লার ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। তিন দিন ধরে ময়লা ফেলে রাখায় বুধবার সকাল থেকেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে জনতাকে নাক চেপে তবেই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। বিরূপ প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাতেও।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী অ্যাসেসর কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এবার কোনো আশ্বাস নয়, দাবির বাস্তবায়ন হলেই তারা আন্দোলন ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন।

ব্যস্ততম এলাকা নগরীর বিবপুকুর পাড়, সদর রোড, লঞ্চঘাট ভূমি অফিসের সামনে ময়লা স্তূপাকারে পড়ে থাকায় এখন চলাচল করা পথচারীদের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। পথচারী নারগিস আক্তার বলেন, আমরা নাগরিকরা নিয়মিত কর পরিশোধ করি তাহলে সেবার বেলায় এমন বেহাল দশা হবে কেন? আগের মেয়েরের সময় এ সমস্যা হয়নি। আর বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামাল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নগরবাসীর ভোগান্তির শুরু। তা নাহলে ৩ দিন ধরে সদর রোডের মতো স্থানে ময়লা পড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে মেয়রের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।

কর্মবিরতিতে থাকা আন্দোলনরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মো. হোসেন ঢালী জানান, মেয়রের সবকিছু চলে কেবল তাদের বেতন দেওয়ার বেলায় অসুবিধা। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের বেতন ৭ হাজার, সেখানে দেওয়া হয় ৫ হাজার করে। তাও আবার ৫ মাস ধরে বকেয়া। এখন আপনারাই বলুন, কত দিন আর বেতন ছাড়া দেনার দায় মাথায় নিয়ে কাজ করা যায়। এ জন্য এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আর কাজে নামবো না। এই পরিচ্ছন্নতাকর্মী আরো বলেন, মেয়র এসে বলুক আজ বেতন দেবেন দেখবেন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে নেমে ২ ঘণ্টার মধ্যে শহর পরিষ্কার করে দেবো। এমন বক্তব্য নগর ভবনের সামনে চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব কর্মচারীর।

বেলা ১১টার দিকে দেখা যায়, নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে রুবি বেগম ও শিপ্রা রাণী এসেছেন জন্ম নিবন্ধন সনদের ভুল সংশোধনের জন্য নগর ভবনে। এসে দেখেন ভবনের প্রধান ফটক তালাবন্ধ, কর্মচারীরা অবস্থান ধর্মঘট করছেন। রুবি বেগম বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের আন্দেলনের বিষয়টি তার জানা ছিল না। এমন বিপাকে পড়ছেন অনেক নাগরিক।

সিটি কর্পোরেশনের অ্যাসেসর কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এই নিয়ে ৫ মাস হলো সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত ৫৪২ এবং অনিয়মিত ১৪শ কর্মচারী বেতন পাচ্ছে না। এর আগেও তারা আন্দোলন করেছিলেন তখন মেয়র বকেয়া বেতনভাতা দেওয়ার আশ্বাসে প্রত্যাহার করেছিলেন। এবার আর কোনো আশ্বাসে কাজ হবে না। দাবি বাস্তবায়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, তিনি এসে বকেয়া ৪ মাসের বেতন দিয়েছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কেবল ১ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। জানুয়ারি মাসের বেতন ফেব্রুয়ারীর ২০ তারিখে দিতে চাইলে তারা একসঙ্গে নেওয়ার দাবি করে অন্যদের সাথে কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছে। এখন ১ কোটি ১০ লাখ টাকার বেতন দিকে হলে সময়তো দিতে হবে। কর আদায় করতে পারলেই বেতন দেওয়া যেত। তাই বলে সময় না দিয়ে কর্মবিরতিতে যাওয়াটা অযৌক্তিক মনে হয় এই কর্মকর্তার কাছে।

(দ্য রিপোর্ট/এম/মার্চ ২৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর