thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের সময় আবেদন খারিজ

২০১৭ মার্চ ২৯ ১৪:৪০:৩৮
হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের সময় আবেদন খারিজ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরের জন্য ঈদুল-আজহা পর্যন্ত সময় চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ট্যানারি মালিকদের পক্ষে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর ফলে অবিলম্বে ট্যানারি স্থানান্তরে সিদ্ধান্তই বহাল থাকল বলে জানিয়েছে আইনজীবীরা।

এর আগে গত ৬ মার্চ হাজারীবাগের সকল ট্যানারি কারখানা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের পরিবর্তন চেয়ে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অপরদিকে বেলার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মিনহাজুল হক চৌধুরী। পরে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আদালত বলেছেন এর আগে ৬ মার্চ ট্যানারি স্থানান্তরে হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে পরিবর্তন হয়নি। বেলা যেসব নথিপত্র দাখিল করেছে তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এখন আর আদেশ পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, হেমায়েতপুরে গ্যাস ও বিদ্যুত সংযোগ না থাকার যে অভিযোগ ট্যানারি মালিকরা করেছে তারও ভিত্তি নেই। কারণ ইতোমধ্যে তিতাস গ্যাস ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে তাদের সংযোগ পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।

৬ মার্চের আদেশে হাজারীবাগের সকল ট্যানারি কারখানা অবিলম্বে বন্ধের পাশাপাশি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র, শিল্প সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শককে সহযোগিতা করতে বলেন আদালত।

আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ৬ এপ্রিল পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ বন্ধে সরকারের বিভিন্ন অ্যাজেন্সিগুলোর কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পাচ্ছে, সে বিষয়ে একই সময়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে আরেকটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে।

সর্বশেষ ২০১০ সালের অক্টোবরে ছয় মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ২০১১ সালে ৩০ এপ্রিলের পর হাজারিবাগে ট্যানারি চালানোর অনুমোদন নাই। এরপরও সরকার ট্যানারিগুলোকে একাধিকবার সময় দিয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তা ৩১ মার্চ পযন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার আদালতের অনুমতি নেয়নি এমন অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন করে বেলা। বেলার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত হাজারীবাগের সকল ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধ এবং কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আদেশ দিয়েছেন।

সেদিন আদালতের আদেশের পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী রইস উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছি ৪৩টি ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বহু ট্যানারি এখনও স্থানান্তর করা হয়নি। এছাড়া গত ৩১ জানুযারি শিল্প মন্ত্রণালয় হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ বন্ধে বিভিন্ন অধিদফতরের কাছে সহযোগিতা চায়। সরকারের এসব অধিদফতর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয় কতটুকু সহযোগিতা পাচ্ছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আগামী ৬ এপ্রিল দিতে বলেছে আদালত।

এর আগে ট্যানারি স্থানান্তরে সরকারের বারবার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ জানুয়ারি বেলার পক্ষে একটি আবেদন করা হয়।

আর নির্ধারিত সময়ে ট্যানারি স্থানান্তর না করায় প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ জমার নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এআরই/এপি/মার্চ ২৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর