thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল 24, ৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ৭ শাওয়াল 1445

আবাসিক শিক্ষক প্রত্যাহারে গভীর রাতে রাস্তায় ছাত্রীরা

২০১৭ মার্চ ২৯ ১৫:১৮:০৫
আবাসিক শিক্ষক প্রত্যাহারে গভীর রাতে রাস্তায় ছাত্রীরা

ঢাবি প্রতিনিধি : আবাসিক শিক্ষক প্রত্যাহারের দাবিতে গেটের তালা ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রি হলের ছাত্রীদের গভীর রাতে রাস্তায় নামার ঘটনা ঘটেছে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে। পরে বিষয়টি ভিসির সাথে আলোচনা করে তারা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে দাবি পেশ করেছে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা জানায়, হলের আবাসিক শিক্ষক লোপা আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন। ইতোপূর্বে হলের মেয়েদের সাথে নানা রকম খারাপ ব্যবহার করেছেন। মেয়েদের চরিত্র নিয়ে খারাপ মন্তব্যও করেছেন। উনার বিরুদ্ধে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিযোগ রয়েছে। ইতোপূর্বে তিনবার নিয়োগ দেওয়ার পর তাকে প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও চতুর্থবার তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রাধ্যক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি।

আন্দোলনকারী থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শুভ্রা গোস্বামী বলেন, লোপা আহমেদ শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ব্যবহার করেন। এমন ভাষায় কথা বলেন, মুখে আনা যায় না। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রত্যাহার করার পরও আবার তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পূর্বে যেহেতু উনার আচরণ খারাপ ছিলো, তাই নতুন করে হলের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা আন্দোলন করছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে লোপা আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুয়েত মৈত্রি হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুবিনা খন্দকার দ্য রিপোর্টকে বলেন, এই আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত বছর আন্দোলন হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ভিসি স্যারের কাছে আছে। ভিসি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন এই আবাসিক শিক্ষককে সরাসরি শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পৃক্ত এমন কোনো কাজ না দিয়ে হলের অন্য প্রশাসনিক কাজ দেওয়ার জন্য। তাকে আবাসিক শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

তাহলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে কেন?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা অনুমান করছে তিনি আবার খারাপ ব্যবহার করতে পারে। তাই আন্দোলন করছে। কিন্তু তিনি হল প্রশাসনের কোনো কমিটিতে এখন নেই।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এনআই/মার্চ ২৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর