thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

আরও ৭ মরদেহ উদ্ধার

বাগেরহাটের ট্রলারডুবি : নারী শিশুসহ নিখোঁজ ১০

২০১৭ মার্চ ৩০ ০৯:৩৫:২৮
বাগেরহাটের ট্রলারডুবি : নারী শিশুসহ নিখোঁজ ১০

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নতুন করে আরও ৭টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে মোট ১২টি মরদেহ উদ্ধার হলো।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধারকারীরা ভাসমান অবস্থায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে ১ শিশু, ২ নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছে।

দুর্ঘটনার ৩য় দিন বুধবার সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বলছে ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ এখনও অন্তত ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মধ্যে তিন জনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, মোরেলগঞ্জের বাঁশবাড়িয়া এলাকার সাহ আলমের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২), কালিকাবাড়ি এলাকার সালাম সেখের ছেলে আ: রফিক (৩৫) এবং পোলেরহাট এলাকার মৃত কাসেম সেখের ছেলে আঃ মজিদ শেখ (৭৫)।

ট্রলারডুবির ঘটনায় নৌবাহিনীর উদ্ধারদলের কমান্ডার শাহরিয়ার আকল সকালে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পানগুছি নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় ৬টি মরদেহ নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ছোলমবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে ৫০/৬০ জন যাত্রী নিয়ে মোরেলগঞ্জ পুরাতন থানার ঘাটে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা নারী শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয় এবং নিখোঁজ হন অন্তত ১১ জন।

নিখোঁজদের মধ্যে যাদের নাম পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পল্লীমঙ্গল গ্রামের বাচ্চু শেখের দশ মাস বয়সী ছেলে রাহাত, একই উপজেলার বারুইখালি গ্রামে শহীদুলের স্ত্রী লাবনী (২০), একই গ্রামের নাসিম শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (৬), আলতি বুরুজবাড়িয়া গ্রামের গফফার হাওলাদারের ছেলে সুলতান হাওলাদার (৫৫), ফুলহাতা গ্রামের মহসিনের ছেলে হাসান (৬), চিংড়াখালি গ্রামের তবিবুর রহমানের স্ত্রী মুন্নি বেগম (৪০), উত্তর সুতালড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী কামরুন্নেছা (৫৮), পুঁটিখালি গ্রামের হালিম হাওলাদারের মেয়ে রিমা (২৬), বুরুজবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মো. আনছার হাওলাদার (৫০), ভাইজোড় গ্রামের কালামের স্ত্রী খাদিজা (৪০), বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আলম চাপড়াশির স্ত্রী সালমা (৩০), একই গ্রামের ইউনুস সরদারের স্ত্রী বিউটি (২৫), শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নাহিদ ওরফে লিটনের স্ত্রী নাছিমা (৩৫), একই উপজেলার শামছুল হুদার ছেলে আবির (১৫), পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পশ্চিম বানিপাড়া গ্রামের খলিল তালুকদারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (২৮)

এদিকে ট্রলারডুবির প্রায় ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজদের সন্ধান না পেয়ে নদী পাড়ে ভিড় করেছেন স্বজনেরা। উদ্ধারকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি নিজেরাও ট্রলার নিয়ে নদীতে খুজে ফিরছেন তাদের নিখোঁজ হওয়া স্বজনদের।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসে উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের চারটি দলে ভাগ হয়ে পানগুছি নদীর বদনিভাঙ্গা থেকে ফুলহাতা পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পানগুছি নদীর দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই পাশের ১০ কিলোমিটার জুড়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেহেতু নদীতে জোয়ার-ভাটার তীব্র স্রোত রয়েছে তাই বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যতক্ষণ না তাদের পাওয়া যাচ্ছে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এনআই/মার্চ ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর