thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

এমপি রানার জামিন আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

২০১৭ মার্চ ৩০ ১৫:১৫:০৮
এমপি রানার জামিন আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় একই দলের টাঙ্গাইলের-৪ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে হাইকোর্ট রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আদেশের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রানার আইনজীবী এস এম আবদুল মবিন রুলটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের আবেদন জানান। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন, সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল বশির আহমেদ।

আদালতে এমপি রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও ড. বশির আহমেদ। অপদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি রানার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত ২০ মার্চ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ২৭ মার্চ শুনানি শেষে ৩০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মামলাটি আদেশের জন্য আসলে আদালত রুলটি খারিজ করে দেন।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

সংসদ সদস্য রানা, তার তিন ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলায় আমানুর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠান। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া রানার জামিন নাকচ করে দিলে তিনি হাইকোর্টে আসেন।

ফারুক হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে ইতোমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর উপনির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা রানা। পরে আওয়ামী ফের যোগ দেন তিনি। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এম/মার্চ ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর